মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন আশার আলো জ্বেলেছ বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে চীনের কৌশল অন্য দেশগুলোয় ব্যবহার করা যায় কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর বেলায়।
এএফপির খবরে জানানো হয়, চীনে গত চার দিনে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত একজন রোগী পাওয়া গেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তা থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ চীনের আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার তথ্য নিয়ে সতর্ক করেছেন, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসুস চীনের সফলতার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, চীনের সফলতা বাকি বিশ্বের জন্য আশার আলো দিচ্ছে।
চীন কেন্দ্রনিয়ন্ত্রিত একদলীয় শাসনব্যবস্থার এমন দেশ, যেখানে ভিন্নমতের স্থান নেই এবং যেকোনো ইস্যুতে বিপুল পরিমাণের সম্পদ, লোকবলে রাতারাতি পরিবর্তন ঘটাতে পারে। চীনের যেসব বিষয় আলোচনা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে অবরুদ্ধ ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, মাস্ক পরিধান, গণকোয়ারেন্টিন, সংহতি ইত্যাদি।
অবরোধ ও নিয়ন্ত্রণ
গত জানুয়ারি মাসে চীন উহান শহরকে কার্যকরভাবে অবরুদ্ধ করে এবং এর ১ কোটি ১১ লাখ জনসংখ্যাকে কোয়ারেন্টিনে পাঠায়। এই প্রক্রিয়া পরে অনুসরণ করা হয় পুরো হুবেই প্রদেশের জন্য। পাঁচ কোটি মানুষকে গণ–আইসোলেশনে পাঠায়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষকে কঠোরভাবে বাড়িতে থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়।
গণসংহতি
পিকিং ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিষয়ের অধ্যাপক ঝেং জিজিই বলেছেন, হুবেই প্রদেশে কমপক্ষে ৪২ হাজার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হুবেই প্রদেশে পাঠানো হয় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য। এ সময় ৩ হাজার ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হন এবং ১৩ জন মারা যান।
মাস্ক ও সতর্কতা
শহরগুলোয় মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। অধ্যাপক ঝেংজিজিই বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষের ভাইরাসটি বহনের আশঙ্কার মধ্যে ব্যাপক হারে মাস্ক ব্যবহার ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে পারে।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবর অনুসারে চীন প্রতিদিন ১৬ লাখ মাস্ক উৎপাদন করেছে ওই সময়।
উচ্চপ্রযুক্তির দেশটিতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি যেখানে সীমিত, সেখানে কোনো কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের জন্য ফোনে কিউআর কোড দেখানোর ব্যবস্থা করে। যেটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পরিস্থিতির ভিত্তিতে তাদের ‘সবুজ’, ‘হলুদ’ এবং ‘লাল’ চিহ্ন দেখায়। এর মাধ্যমে নাগরিকদের দেখানো হয়, তাঁরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যাচ্ছেন কিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।