নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আফ্রিদিকে প্রায়ই অসহায় ও দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়। এমনকি মানবিক কাজ করতে তিনি খুলেছেন ‘আফ্রিদি ফাউন্ডেশন’। এবার তার এ ফাউন্ডেশন এগিয়ে এলো নিজ দেশের চরম বিপর্যয়ে। করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে এ ফাউন্ডেশন। সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি ছাড়াও, উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতীব জরুরি জিনিসপত্রও সরবরাহ করছে আফ্রিদি ফাউন্ডেশন।
বিশ্বজুড়ে ভয়ংকর রুপ ধারণ করেছে মহামারি করোনা। এ ভাইরাসের কারণে বিশ্ব যেন মৃত্যুপুরীতে রূপ নিয়েছে। পাকিস্তানেও দিন দিন ভংয়কর হয়ে উঠছে এ ভাইরাস। পাকিস্তানে এ পর্যন্ত ৬৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া প্রাণ হারিয়েছে এ পর্যন্ত তিনজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজ দেশের অসহায় মানুষদের সাহায্যে কাজ করছে আফ্রিদির এই ফাউন্ডেশন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফ্রিদি লেখেন, ‘মহামারি কোভিড-১৯-এর এই সময়ে আমাদের সকলের দায়িত্ব একে অপরকে সাহায্য করা এবং অনগ্রসর মানুষদের কথা মাথায় রাখা। সচেতনতা সৃষ্টি, সতর্কতাম‚লক তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর বিপক্ষে লড়ার জন্য আমি-আমার কাজটা করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহিদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন এখন মন দিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক মিশনে। এরই মধ্যে অনেক জায়গায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানান নির্দেশনা দেওয়া হছে। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ বা সন্দেহভাজনদের রাখার জন্য একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডও খোলা হয়েছে।’
এছাড়া সবাইকে বাড়িতে নিরাপদ থাকার আহŸান জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আমাদের ফাউন্ডেশনের ‘নটআউট থাকার আশা’ মিশনটি চালিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আমরা জীবিকা হারানো প্রত্যেককে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যাদি দিয়েছি। যাতে করে এ সময়টায় তারা টিকে থাকতে পারে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব নিজেদের যতœ নিতে এবং বাড়িতেই নিরাপদ থাকতে।’
এদিকে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য ১ মিলিয়ন ইউরো দান করেছেন জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভস্কি ও তার স্ত্রী অ্যানা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।
দানের ব্যাপারে টোল্ড বিল্ড নামক এক গণমাধ্যমকে ৩১ বছর বয়সী তারকা বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা সবাই সচেতেন আছি। আজ আমরা সবাই দল হয়ে খেলছি। চলুন এই যুদ্ধে শক্ত হই। যদি আমরা কাউকে সাহায্য করতে পারি, তবে চলুন করা যাক।’ কেবল তিনিই নন, বায়ার্নের দুই জার্মান তারকা লিওন গোরেৎজকা এবং জশুয়া কিমিচও একত্রে ১ মিলিয়ন ইউরো দান করেছেন ‘উই কিক করোনা’ ক্যাম্পেইনের ফান্ডে।
ম্যানচেস্টার সিটির জার্মান উইঙ্গার লেরয় সানেও উল্লেখযোগ্য অঙ্কের দান দিয়েছেন করোনা প্রতিরোধে। ‘উই কিক করোনা’ ফান্ডে ইতোমধ্যে ২.৫ মিলিয়ন ইউরো জমা পড়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২২ কোটি ৭৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।