Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিটেনে লাশ আগুনে না পোড়াতে মুসলিম কমিউনিটির অনুরোধ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা ভাইরাসে ব্রিটেনে এ পর্যন্ত মৃত ২৩৩ জনের মধ্যে তিনজন মুসলিমও মারা গেছে। ইতোমধ্যে দু’জনের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী। একজনের লাশ এখনো দাফনের জন্য অপেক্ষমাণ। কিন্তু এই প্রক্রিয়া অব্যাহত নাও থাকতে পারে। কারণ ব্রিটিশ সরকার বলছে, এভাবে লাশের সারি বাড়তে থাকলে কবরের জায়গা সঙ্কট দেখা দিবে এবং দাফনের ক্ষেত্রে মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হবে না। অর্থাৎ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী লাশ দাফন না করে পুড়িয়ে ফেলা হতে পারে। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে ব্রিটেনের মুসলিমসহ অন্যান্য কমিউনিটিকে। এরই প্রেক্ষাপটে মুসলিম কমিউনিটির নেতারা সে দেশের মুসলিমদের স্থানীয় এমপির কাছে চিঠি লিখে মুসলিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর লাশ দাফনের ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দিয়েছে। মুসলিম এনগেইজমেন্ট অ্যান্ড ডেভোলাপমেন্ট নামক একটি সংস্থার ওয়েবসাইটে শনিবার সকালে এই তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, সরকার ‘ ইমার্জেন্সি করোনাভাইরাস বিল ২০১৯-২১‘ নামে পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপন করেছে। এই বিলের খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। ইতোমধ্যে একদফা বিলটি নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। আজ ২৩ মার্চ সোমবার তা পাস করার লক্ষ্যে আবারও পার্লামেন্টে তোলা হবে। এই বিলটি পাস হয়ে গেলে বর্তমানে ব্রিটেনের বহু ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্মমতে দাফন কাফনের যে অধিকার আছে সেটা খর্ব হয়ে যাবে। স্থানীয় কাউন্সিল যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে দাফন করতে পারবে। কাউন্সিল চাইলে ধর্মমতে দাফনের অনুমতি দিবে, নতুবা লাশ জ্বালিয়ে ফেলতে পারবে। তখন মুসলমানদের ইচ্ছার কোনো গুরুত্ব থাকবে না। বর্তমান ‘পাবলিক হেলথ ১৯৮৪ ধারা ৪৪ (৩)’ আইনে মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তাদের নিজ নিজ ধর্মমতে লাশ দাফনের অধিকার দেয়া আছে। ফলে স্থানীয় কাউন্সিল চাইলেই কারো লাশ জ্বালিয়ে ফেলতে পারে না। তাই পার্লামেন্ট চাচ্ছে এই আইনকে পরিবর্তন করতে। আইন পাস হয়ে গেলে ইসলামি নিয়মে লাশ দাফনের কোনো সুযোগ থাকবে না। তাই বিলটি পাস করার আগে তাতে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে এমপিরা ভুমিকা রাখতে পারেন। ওয়েবসাইট।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ