মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা রোধে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের সব পৌর এলাকা লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে কার্যকর। আগামীকাল বিকেল ৪টা থেকে এই লকডাউন শুরু হবে। আগামী ৩১শে মার্চ পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে। কলকাতার পাশাপাশি, দেশের ৭৫টি গুরুত্বপূর্ণ শহর এই লকডাউনের আওতায় থাকবে। এই বিষয়ে সকল রাজ্য প্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ভারতের একাধিক রাজ্যের ৭৫টি জেলায় লকডাউন (কোথাও আংশিক) ঘোষণা করার নির্দেশে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ঠিক একই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে কলকাতাসহ রাজ্যের পৌরশহরগুলোতে অত্যাবশ্যক এবং আপৎকালীন বিষয় ছাড়া যাবতীয় প্রকাশ্য কার্যকলাপ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হতে পারে।করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সব রাজ্যকে লকডাউনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও কেন্দ্রের সে প্রস্তাবে সায় দেয়নি। তবে প্রস্তাব মেনে নেয়ার বিষয়েই রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহল চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে সোমবার বিকেল থেকেই আপৎকালীন পরিষেবা বাদ দিয়ে বাকি সবকিছু বন্ধ হয়ে যেতে পারে রাজ্যের পৌরশহরগুলোতে।
এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতে ‘জনতা কারফিউ’ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই কারফিউ।
গত সপ্তাহেই করোনার বিস্তার ঠেকাতে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে আজ দেশজুড়ে এ কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন ভারতীয়রা। জনতা কারফিউয়ের কারণে রোববার সকাল থেকেই ফাঁকা বেশিরভাগ শহরের রাস্তাঘাট, বন্ধ দোকানপাট। জরুরি প্রয়োজনে অল্প কিছু লোক ঘর থেকে বের হচ্ছেন। রাস্তায় সরকারি বাস থাকলেও তাতে যাত্রী নেই বললেই চলে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৮৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩২ জন, মারা গেছেন অন্তত চারজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্য দেশের মতো কোভিড-১৯ বিস্তারের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ভারত। এ সংক্রমণ এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে খুব শিগগিরই আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে সেটি।
করোনা প্রতিরোধে ইতোমধ্যে দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্যে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। গুজরাটের অন্তত চারটি শহর আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত অবরুদ্ধ ঘোাষণা করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাজস্থান অবরুদ্ধ ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়া পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে আন্তঃরাজ্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।