মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য প্রয়োজনীয় টেস্ট কিটের সঙ্কট চলছে। তার মধ্যেই সংক্রমণ পরীক্ষার নতুন ব্যবস্থায় অনুমোদন দিল মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। এই ব্যবস্থায় কারও শরীরে করোনা হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় লাগবে।
বর্তমান পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পাঠাতে হয়। এ পদ্ধতিতে ফলাফল পেতে ২৪-৩৬ ঘন্টা সময় লেগে যায়। নতুন পদ্ধতিতে মাত্র ৪৫ মিনিটেই করোনা শনাক্ত করা যাবে। এই টেস্ট কিট তৈরি করেছে ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক এক মলিকিউলার ডায়াগনস্টিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা সেফিড। গত শনিবার ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এফডি তাদেরকে এই কিট জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের বিশেষ অনুমতি দিয়েছে। সোমবার থেকে তারা এই টেস্ট কিট বিভিন্ন শহরে পাঠানো শুরু করবে।
এফডিএ হল মার্কিন প্রশাসনের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। কোনও ওষুধ বা বায়োলজিকাল প্রোডাক্ট, বিভিন্ন চিকিৎসা উপকরণ মানুষের শরীরের জন্য কতটা প্রভাব ফেলে তা নিয়ে সবসময় গবেষণা চলছে সেখানে। এফডিএ-র অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের কোনও জিনিসই আইনত বিক্রি বা ব্যবহার করা যায় না আমেরিকায়। সে দিক থেকে এফডিএ-র অনুমোদনের গুরুত্ব বিশ্বব্যপী রয়েছে।
সেফিডের চিফ মেডিকেল ও টেকনোলজি অফিসার ডেভিড পারসিং জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন বিশ্বজোড়া মহামারীর আকার নিয়েছে। এই অবস্থায় কোনও রোগীর শরীরে কোভিড-১৯ –এর কোনওরকম উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত টেস্ট করা জরুরি। সে কথা মাথায় রেখেই এই টেস্ট কিট তৈরি করা হয়েছে। তার কথায়, যত দ্রুত টেস্ট করা যাবে ততটাই দ্রুততার সঙ্গে কোনও রোগীকে আইসোলেশনে রাখা যেতে পারে। কারণ, এ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বহুগুণে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কোনও মানুষের শরীরের এই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তার সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করে দেয়া উচিত।
গোটা বিশ্বজুড়ে উন্নত দেশগুলিতেও করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। কারণ, সব হাসপাতালে এ ধরনের টেস্ট হচ্ছে না। সরকার নির্ধারিত কিছু চিকিৎসা কেন্দ্র ও হাসপাতালেই তা হচ্ছে। মার্কিন চিকিৎসকরাও বলছিলেন, তাদের দেশেও করোনাভাইরাস টেস্টের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু এফডিএ-র অনুমোদনের পর সেই সংকট কাটবে বলেই তারা আশা করছেন।
প্রসঙ্গত, আমেরিকাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণও দ্রুততার সঙ্গেই ছড়াচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে ২৫৪৯৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ যাবৎ মৃত্যু হয়েছে ৩০৭ জনের। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।