গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু আছে বলে বিশ্বাস করা হাদীস শরীফের খিলাফ। কারণ হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি বলেন “সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই”। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার মালিক আল্লাহতায়ালা তাই করোনা ভাইরাস নিয়ে কোন প্যানিক নয়। করোনা ভাইরাস কোন ছোঁয়াচে রোগ বা মহামারী নয় বরং করোনা ভাইরাস এক মহা গযব” বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের নেতারা।
বক্তরা বলেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন করোনা ভাইরাস নিয়ে কোন প্যানিক তৈরী করবেন না। ধর্মব্যবসায়ীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কঠিন প্যানিক তৈরী করেছে। অথচ তারা এতদিন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদের এবং পবিত্র মাজার শরীফ থেকে বিমুখ করার জন্য জোর গলায় প্রচার করত- সব কিছু দেয়ার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি। কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচানোর মালিক যে মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা এখন আর তারা প্রচার করছেনা।
আজ রবিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে করোনা ভাইরাস নিয়ে মানববন্ধন করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামীক দল।
তারা বলেন,’করোনা ভাইরাসকে ব্যবহার করে একটা শ্রেনী দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করতে চাইছে। দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরীর পায়তারা করছে। রাষ্ট্রকে ব্যর্থ প্রমাণ করে সরকারকে পদত্যাগের পরিস্থিতি তৈরী করতে চাইছে। সর্বপোরি মসজিদ, মাহফিল বন্ধ করে সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের খেপিয়ে তুলতে চাইছে। রহমত শুন্য করে দেশ ও সরকারকে খোদায়ী গযবের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।
বক্তারা বলেন, যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছে, প্রদর্শনী করেছে এবং প্রায়ই করতো। প্রতিযোগিতার আয়োজনও করেছে এবং করতো। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মান মুবারক সম্পর্কেও নানা অশ্লীল ও অশালীন মন্তব্য প্রকাশ করেছে, বলেছে, লেখেছে। নাউযুবিল্লাহ! যারা মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণে বাধা দিয়েছে, মসজিদ-মাদরাসা ভেঙ্গেছে, নামাজ ও রোজায় বাধা দিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! তাদের প্রতি করোনা ভাইরাস এক মহাগযব। তাই করোনা ভাইরাস নিয়ে প্যানিক নয়। “করোনা ভাইরাস মুসলমানদের জন্য কোন সমস্যা নয়। আলেম সমাজকে এসব কথা বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।
বক্তারা বলেন,’বাংলাদেশে করোনার অজুহাতে পবিত্র মসজিদসমূহে জামায়াত নিষিদ্ধ করা, মহাসম্মানিত আযান পরিবর্তন করা, পবিত্র মসজিদসমূহে যেতে নিরুৎসাহিত করলে ওলামালীগসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও হাক্কানী-রব্বানী আলেম সমাজ তা শক্তভাবে প্রতিহত করবে। ইনশাআল্লাহ!করোনাসহ সকল প্রকার আযাব-গযব থেকে বাঁচতে হলে বেশি বেশি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করতে হবে এবং সুন্নতী খাদ্য গ্রহণ করতে হবে”।
তারা আরও বলেন,’খোদায়ী রহমতের পথগুলো খোলা রাখা তথা মসজিদ, জুমুয়া, গণজমায়েতে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ এবং তওবা ও দোয়া করা গযবী করোনা ভাইরাস ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্র ও নাগরিকের সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
করোনা ভাইরাসের অজুহাতে বেশি বেশি কেনা-কাটা, মজুদদারী, মুনাফাখোর, সিন্ডিকেট দৌরাত্ম, কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ রোধে সরকার এবং জনগণকে একসাথে জিহাদে নামতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি- আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী,সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, লায়ন আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।