Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রের ১০ হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ

করোনা মোকাবেলায় প্রণোদনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবেলায় দেশটির নাগরিকদের সহায়তার জন্য ১০ হাজার কোটি ডলারের অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্রদানের অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

মার্কিন রাজস্ব সচিব স্টিভেন মুনুশিন মঙ্গলবার জানান, হোয়াইট হাউস এবং ক্যাপিটল হিলের মধ্যে এক বিশাল অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পথে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে আমেরিকানদের চেক প্রেরণের অপেক্ষায় আছি। এবং বলতে চাইছি, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে।’
যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের অংশ হিসেবে প্রতিদিনই কর্মী ছাঁটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং হোটেল, এয়ারলাইনস ও রেস্তোঁরাশিল্প থেকে ত্রাণের আবেদন আসছে।

ক্যাপিটল হিলে জিওপি সিনেটরদের সাথে বৈঠকের পর মুনুশিন সাংবাদিকদের জানান যে, প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের এই প্রণোদনা প্রকল্পটি যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত প্রণীত বৃহত্তম জরুরি অর্থনৈতিক প্রকল্প।
আইন প্রণেতাদের কঠোর হুঁশিয়ারিও দিয়ে মুনুশিন বলেন যে, কাজ করতে ব্যর্থ হলে বেকারত্বের হার গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় প্রায় ৩.৫ শতাংশ থেকে প্রায় ২০ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

এদিকে, গত মঙ্গলবার দেশটি করোনা সংক্রমণের শততম মৃত্যু নথিবদ্ধ করেছে। বিগত চব্বিশ ঘন্টায় ১ হাজারেরও বেশি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে যা যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক সংখ্যা। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তার জন্য প্রাথমিকভাবে বড় ধরনের শুল্ক ছাড় প্রস্তবিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাগণ আগের নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে এসে বর্তমানে লক্ষ লক্ষ আমেরিকানকে তাৎক্ষণিক অর্থ প্রেরণের ধারণাটিকে সমর্থন করছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তারা মনে করছেন যে, এই উদ্যোগটি দ্রুত অর্থনৈতিক খাতে নগদ টাকার যোগান দেবে এবং আগামীতে আমেরিকানদের অর্থনৈতিক ঘাটতি কমিয়ে বিল পরিশোধে সহায়তা করবে।

হোয়াইট হাউস নগদ অর্থ প্রদানের পাশাপাশি আসন্ন আইন প্রনয়ণ প্রক্রিয়াতে অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ছোট ব্যবসা এবং এয়ারলাইন্স শিল্পের জন্য সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করতে চায়।
অর্থনীতিকে আরও স্থিতিশীল করার জন্য প্রচেষ্টা স্বরুপ ট্রেজারি বিভাগ এবং ফেডারেল রিজার্ভ গত মঙ্গলবার একটি পদক্ষেপ নেয় যাতে শিল্প সংস্থাগুলির জন্য ঋণ গ্রহন সহজতর হয়। একই সাথে হোয়াইট হাউস অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিশোধের বিষয়টি করদাতাদের জন্য নমনীয় করে পরবর্তী মাসে সময়সীমা অতিরিক্ত ৯০ দিন বাড়িয়ে দেয়।

হোয়াইট হাউসের নতুন ১ ট্রিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনাটি কার্যকরভাবে অর্থনীতিতে নগদ অর্থের বন্যা বইয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবং কর্মকর্তারা বলেছেন যে এর প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার ফ্লাইট বিপর্যয়ে হিমশিম খাওয়া এয়ারলাইন্স শিল্পকে সহায়তা করতে ব্যবহৃত হবে।

এর আগে, চলতি মাসে কংগ্রেস জনস্বাস্থ্য কর্মস‚চির জন্য ৮.৩ বিলিয়ন ডলার জরুরি ব্যয়ের অনুমোদন দেয় এবং গত সপ্তাহে তারা প্রকল্পটির আওতায় অসুস্থ ছুটি, বেকারত্ব বীমা, খাবারের টিকিটের জন্য অর্থ, বিনাম‚ল্যে করোনভাইরাস পরীক্ষা এবং আনুষাঙ্গিক বিষয়ের উপর ব্যয় অনুমোদন করে। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট।



 

Show all comments
  • Sadia Ahmed ১৯ মার্চ, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
    What will Bangladesh govt. Do???
    Total Reply(0) Reply
  • Kamran Uddin Rayhan ১৯ মার্চ, ২০২০, ১:১৫ এএম says : 0
    চায়না, ইরান, ইতালি, ইংল্যান্ড, অ্যামেরিকার মতো উন্নত দেশ করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণের বাহিরে যাওয়াকেও নিষিদ্ধ করেছে। অার এদেশে মিছিল,সমাবেশ হয়! প্রবাসীরা হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় না ছিলো শুরুতে তদারকি, না অাছে করোনা শনাক্তকরণের পর্যাপ্ত যন্ত্র! তার উপরে কান্ডজ্ঞানহীন বিভিন্ন কার্যক্রম অার ফাঁপা বুলি। এই হচ্ছে তাদের কাজ! সম্ভাবত ভয়াবহ দুর্যোগের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • বরিশাল মহানগর ছাত্রদল ১৯ মার্চ, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 0
    চায়নারা করোনা থেকে বাচার জন্য মাসজিদে যায় আর বাঙালি করোনা থেকে বাচার জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ziared Rahman ১৯ মার্চ, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশের মানুষ যদি নরমাল ভাবে নেয় সেই সাথে সরকার ও নরমাল ভাবে নেয় তাহলে দেশের অবস্থা খারাপ হবে, সবার উছিত সতর্কতা অবলম্বন করা, বিশেষ করে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা থাকতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Rayhan Bhuiyan ১৯ মার্চ, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 0
    ইয়া আল্লাহ্ তুমি কোন না কোন উপায়ে আমাদের এই মহাবিপদ থেকে রক্ষা করো,,,,, তুমিই সব কিছুর মালিক মওলা,,,,,তোমার কাছেই এই মহাবিপদ থেকে মুক্তি চাই,,,,,,আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • Farid Ahmed ১৯ মার্চ, ২০২০, ১:১৭ এএম says : 0
    একটা বিষয়ে সবার বোঝা ও নজর দেওয়া উচিৎ সেটি হল, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন জ্বরের সিজন। ডেঙ্গু, টাইফয়েড অথবা নানা কারনে এই সময়টাতে জ্বর হতে পারে। জ্বর হলেই যে করোনা আতঙ্কে রোগীর চিকিৎসা না দিয়ে ১৪ দিন ঘরে আলাদা করে রাখা মহাবিপদ ডেকে আনতে পারে। অলরেডি অনেক হসপিটাল জ্বর শুনলেই রোগী নিচ্ছেন না শোনা যাচ্ছে, এটা আরো ভয়াবহ হতে পারে। সাহসী হন, সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Hasibul Islam Rubon ১৯ মার্চ, ২০২০, ১:১৭ এএম says : 0
    গতকাল রাতে থানকুনি পাতা নিয়ে যে গুজব ছড়ানো সেটা নিয়ে একটা রিপোর্ট করলে উপকার হতো।যাতে আতংকিত না হয়ে সর্তকতা মেনে চলি।ভুল ধারনাটা ভাঙ্গতো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ