Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণপরিবহনে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা

যাত্রী কল্যাণ সমিতির বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

গণপরিবহনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাস টার্মিনাল ও বাস স্টপেজ, রেল স্টেশান, লঞ্চ-টার্মিনাল ও লঞ্চ ঘাটের পাশাপাশি আকাশপথের সকল যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার বসিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জরুরি।

তিনি বলেন, জনগণকে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষায় ইতিমধ্যে সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে গণপরিবহন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষ গণপরিবহন ব্যবহার করেন। তাদের পক্ষে যেমন গণপরিবহনে যাতায়াত বন্ধ করা সম্ভব নয়। অপরদিকে আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের হাসপাতাল অথবা আশকোনা হজ্বক্যাম্পে নিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। পাঠানোর সময় তাদেরকে গণপরিবহন ব্যবহার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হলেও এসব প্রবাসীরা সিএনজি অটোরিকশা বা টেক্সিক্যাবে চড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। এতে করে কোনো করোনা সংক্রমিত রোগী এসব গণপরিবহন ব্যবহার করলে তা হবে ভয়াবহ। অথবা বাড়িতে আক্রান্ত কোনো রোগী বাস-মিনিবাস কিংবা হিউম্যান হলারে যাতায়াত করলে এতে করে পুরো অঞ্চলে করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রতিটি নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ থেকে গণপরিবহনে যাত্রী ওঠানোর সময় থার্মাল স্ক্যানার মেশিন দ্বারা স্ক্যানিং করে যাত্রী উঠানো। প্রতিটি ট্রিপ শেষে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন জীবাণুনাশক স্প্রে দ্বারা জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের দুর্যোগের এই মুহুর্তে গণপরিবহন বন্ধ না করা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের প্রতিটি সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাসে আসনবিহীন যাত্রী বহন বন্ধ করার অনুরোধ করছি। বাস-মিনিবাসসহ প্রতিটি পাবলিক পরিবহনে পুরো সিট মুড়ানো সিটকভার ব্যবহার করা। রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে যাত্রীর হেলমেট ব্যবহার আপাতত বন্ধ রাখা। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দর থেকে হাসপাতাল অথবা আশকোনা হজ্বক্যাম্প থেকে বাড়ি পাঠাতে নির্দিষ্ট যানবাহন ব্যবহার করা এবং এইসব যানবাহন সবসময় জীবাণুম্ক্তু রাখার স্প্রে ব্যবহার করার অনুরোধ করেন তিনি।

এছাড়াও আন্তঃজেলা দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী এসি-ননএসি বাসে যাত্রী ওঠানোর পূর্বে ও নামানোর পরে জীবাণূনাশক স্প্রে ব্যবহার করা। এসি বাসের যাত্রীদের ব্যবহৃত কম্বল ও সিটকভার প্রতিদিন পরিবর্তন করে পরিষ্কার করা, চালক-হেলপারদের সেইফটি ইউনিফরম ব্যবহার করা, প্রতিটি ট্রিপ শেষে তাদের সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত-মুখ পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রতিটি গণপরিবহন মালিক ও বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যাত্রী কল্যাণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ