Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে ২০ দফা প্রস্তাব যাত্রী কল্যাণ সমিতির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৯, ৩:০৩ পিএম

পবিত্র ঈদুল আজহায় নৌপথে নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত যাতায়াত নিশ্চিত করতে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব প্রস্তাব দেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের নামে প্রতিবছর ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছেন নৌপথের যাত্রীরা। কেবিনের টিকিট কালোবাজারিদের হাতে তুলে দিয়ে কয়েকগুন বাড়তি দামে বিক্রির খবর ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে আসতে শুরু করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্যোগপূর্ণ ভরা বর্ষা মৌসুমের এই সময়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নৌপথে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা না গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব ঝুঁকি মোকাবেলা করে নৌপথে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে ২০ দফা প্রস্তাব প্রদান করা হয়।

# যাত্রীবাহী সব প্রকার নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রীবহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

# সব নৌবন্দর, লঞ্চঘাট, খেয়াঘাটে ঘাট ভাড়ার নামে ইজারাদারের দৌরাত্ম, অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করা।

# সব নৌবন্দর ও লঞ্চঘাটে অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি, প্রতারকচক্র ও কুলিদের দৌরাত্ম বন্ধ করা।

# প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে, হাওর ও পাহাড়ি জনপদে অবৈধ, অনিবন্ধিত, ফিটনেসবিহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা।

# শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোডগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রীবহন নিষিদ্ধ করার পাশাপশি সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল নিশ্চিত করা।

# সব নৌবন্দর ও লঞ্চঘাটে পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসার বাহিনী মোতায়েন করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

# গুরুত্বপূর্ণ নৌবন্দর ও লঞ্চঘাটে সিসিটিভি স্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

# নৌপথে সব প্রকার অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য প্রতিরোধে সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর, বিআইডাব্লিউটিএ, ভোক্তা অধিদফতর, জেলা প্রশাসনও উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা।

# সব লঞ্চ টার্মিনাল ও নৌবন্দরের গণশৌচাগার ও অজুখানায় পর্যাপ্ত পানীয়জলের ব্যবস্থাসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।

# ভাড়া নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা। টিকিট দিয়ে ভাড়া আদায় নিশ্চিত করা।

# ঈদযাত্রার সময়কালে রাতের বেলায় সব প্রকার বালু ও পণ্যবাহী লঞ্চ চলাচল নিষিদ্ধ করা।

# সদরঘাট থেকে গুলিস্থান পর্যন্ত রাস্তা ও ফুটপাত যানজট ও দখলমুক্ত করা।

# রাতের বেলায় স্পিডবোড চলাচল বন্ধ রাখা। স্পিডবোডের যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করা।

# লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে বয়া, বাতি ও মার্কিং ব্যবস্থা করা।

# স্পেশাল সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা।

# প্রতিটি লঞ্চে লাইফ জ্যাকেটসহ যাত্রী অনুপাতে অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিশ্চিত করা।

# প্রতিটি লঞ্চে লাইসেন্সধারী প্রশিক্ষিত ও দক্ষ চালক ও সারেং রাখার বিষয় নিশ্চিত করা।

# ভোলা-লক্ষীপুর নৌরুটে ফেরি পারাপারে ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।

# চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌরুটে কুমিরা-গুপ্তচরা ফেরিঘাটে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ করা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

# ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল ঘাটসহ সব নৌঘাটের খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত যাত্রীবহন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা।



 

Show all comments
  • Durbasha durbar ৩ আগস্ট, ২০১৯, ৪:৪৩ পিএম says : 0
    বাস ও কোচ যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রেও ঐ রকম ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যাত্রী কল্যাণ সমিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ