Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা রোগীদের সেবায় রোবট-ড্রোনের ব্যবহার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০৩ এএম

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে উৎপত্তি লাভ করা মহামারি করোনাভাইরাস বর্তমানে বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে আগেই উঠে এসেছে, চীনে কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে এবং তাদের অবস্থানস্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে জীবাণুনাশক ছিঁটিয়ে দেওয়ার কাজে রোবটের ব্যবহারের কথা। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আক্রান্তদের কাছে খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে ড্রোন এবং রোবট হলো উন্নত উপায়। চীন আগে থেকে চেষ্টা করছিল ২০২৫ সাল নাগাদ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট বাজারে ছাড়তে। তবে করোনাভাইরাসের দাপটের কারণে এরই মধ্যে লড়াইয়ের মাঠে রোবটের ব্যবহার শুরু হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রোবট এবং ড্রোনের কিছু ব্যবহারের কথা এখানে উল্লেখ করা হলো। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। রোবটের সাহায্যে আক্রান্তদের কাছে ওষুধ পৌঁছে দিলে নতুন করে আক্রান্তের ঝুঁকি থাকে না। রিমোটের সাহায্যে রোবট ব্যবহার করে আক্রান্তের সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ ও চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন ডাক্তাররা। উহানে ৫জি রোবটের সাহায্যে রোগীদের কাছে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানোর পাশাপাশি নমুনাও সংগ্রহ করেছেন ডাক্তাররা। করোনা ছড়িয়ে পড়ার মুহ‚র্তে অনেকেই ঘরে বসে অনলাইনে পণ্যের অর্ডার করছেন। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে ডেলিভারি রোবট অনেক কাজের। এ ধরনের রোবট ব্যবহার করে ঝুঁকিমুক্ত থাকা যায়। চীনে আলিবাবা এ ধরনের রোবট স্বল্প সংখ্যক ব্যবহার করছে। চীনে করোনার দাপটে অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। সেখানকার এলি ডট মি খাবার ডেলিভারি দিতে রোবট ব্যবহার করছে। তাছাড়া কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতেও এ ধরনের রোবট ব্যবহার করা হয়। হাসপাতাল, বিমানবন্দর, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থান জীবাণুমুক্ত করতে রোবটের সাহায্যে জীবাণুনাশক ছিঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে অতি বেগুনি রশ্মি ব্যবহার করছে এসব রোবট। স্বাস্থ্যকর্মীদের এসব রোবট সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। চীনে করোনাভাইরাসের দাপটে কারখানায় শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হলেও কিছু প্রতিষ্ঠান রোবট দিয়ে কাজ চালিয়ে গেছে। সিনহুয়া, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ