নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আর্জেন্টিনার ফুটবল ম্যাচগুলোর আবহটাই অন্যরকম। বিশেষ করে ম্যাচগুলো যদি হয় চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীদের মধ্যে। হাজারো বাঁশি, ভুভুজেলার শব্দে কান পাতা দায় হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ প্রিয় দলের জার্সি পরে খেলা দেখতে এসে চিৎকার করে যায় গোটা নব্বই মিনিট। ফুটবল নিয়ে দেশটার মানুষদের উন্মাদনা এমনই। কিন্তু বিশ্ব যেখানে করোনাভাইরাসের কারণে থমকে আছে, সেখানে কী আর ফুটবলের উন্মাদনা চালানো যায়?
আপাতদৃষ্টিতে উত্তর ‘না’ হলেও, আর্জেন্টিনা সেটা মানছে কোথায়? এই সপ্তাহেও লিগের ম্যাচ চলেছে আর্জেন্টিনার মাঠগুলোয়। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে কোনো দর্শক দেখতে যায়নি, দর্শকহীন মাঠে বন্ধ দরজার ওপারে ম্যাচগুলো হয়েছে, তাতে কী? করোনাভাইরাস তো আর দর্শক দেখে আসে না!
গত সপ্তাহে ভ্যালেন্সিয়া খেলে গিয়েছিল ইতালির ক্লাব আটালান্টার মাঠে, চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে। ফাঁকা মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া সে ম্যাচটায় ভ্যালেন্সিয়া হেরেছিল, আটালান্টা নিশ্চিত করেছিল তাদের বিদায়। কিন্তু এর থেকেও বড় ‘হার’ যে অপেক্ষা করছে তাদের জন্য, সেটা কি ঘুণাক্ষরেও টের পেয়েছিল তারা?
করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ইতালির অবস্থান ওপরের দিকে। সে ম্যাচটা খেলে আসার পর থেকে ভ্যালেন্সিয়ার খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের শতকরা ৩৫ জনের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন দলটার তিন ডিফেন্ডার এজেকিয়েল গারাই, এলিয়াকুইম মাঙ্গালা ও হোসে লুইস গায়া। ভ্যালেন্সিয়ার দুরবস্থা শুনে আটালান্টার খেলোয়াড়েরাও চলে গেছেন কোয়ারেন্টিনে। রিয়াল মাদ্রিদের বাস্কেটবল দলও এমন দর্শকহীন কোর্টে খেলতে গিয়েছিল মিলানে। ঠিকই তাদের এক খেলোয়াড় করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু বাস্কেটবল নয়, ফুটবল দলকেও কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়েছে এতে। ফলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, বন্ধ স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলে লাভ হলো কোথায়?
করোনাভাইরাস থেকে আর্জেন্টিনা যে একেবারে মুক্ত, তা কিন্তু না। এর মধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জনের মতো, মারা গেছেন দুজন। সেসবে আর্জেন্টিনার থোড়াই কেয়ার। লিওনেল মেসির দেশে এই সপ্তাহেও লিগের ম্যাচ চলেছে। বোকা জুনিয়র্স ৪-১ গোলে হারিয়েছে গদয় ক্রুজকে, সান লরেঞ্জো ৩-১ গোলে জিতেছে পাত্রোনাতোর বিপক্ষে। রেসিং ক্লাব ও আলদোসিভির ম্যাচটা শেষ হয়েছে ৪-৩ গোলে। এদের মধ্যেই উজ্জ্বল ব্যতিক্রম রিভার প্লেট। নিজেদের স্কোয়াডের একজন খেলোয়াড় থমাস গুতিয়েরেজের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেছে দেখে স্টেডিয়ামে তালা দিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে চলে গেছে সবাই। সেদিন রিভার প্লেটের সঙ্গে খেলার কথা ছিল আতলেতিকো তুকুমানের। ম্যাচ রেফারি জার্মান দেলফিনো ও আতলেতিকো তুকুমানের জার্সিবাহক এসে দেখেন রিভার প্লেটের স্টেডিয়াম বন্ধ। পরে ফিরে যেতে হয় তাঁদের।
রিভার প্লেট যে খেলবে না, সেটার ঘোষণা তারা টুইটারেই দিয়েছে, ‘এমন স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে খেলা বিপজ্জনক বলে আমরা মনে করছি। আমাদের একজন খেলোয়াড়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। আমরা জানি এই অবস্থায় কী করতে হয়, করোনাভাইরাস আমাদের কী করতে পারে। তবে থমাস গুতিয়েরেজ আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছে।’ রিভারের এ সিদ্ধান্তে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়েরাও খুশি হয়েছেন। জীবন দাম সবচেয়ে বেশি যে! এখন রিভারের মতো আক্কেল বাকি ক্লাবগুলোর হলেই হয়!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।