যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
আমিষ খাবারের থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। এমন কথাই জানালেন ভারতের রাজধানী দিল্লির এইমসের চিকিৎসকরা। চিকেন বিরিয়ানি, রেশমি কাবাব, কাবাব, চিলি চিকেন এসব এখন অতীত।
করোনা আতঙ্কে খাবার বলতে শুধুই সবজি। জিভে পানি আনা যেসব খাবার কিনতে বিখ্যাত রেস্তোরাঁ-ফাস্টফুডের দোকানে ভিড় ছিল তা এখন খুব একটা দেখা যায় না। হাতে গোনা ক্রেতাদের আনাগোনা। করোনার হাত থেকে বাঁচতে গুজবের জেরে বেশিরভাগ মানুষের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ পড়েছে আমিষ খাবার।
তবে আমিষ খেলে তা থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে এমন দাবিকে উড়িয়ে দিলেন এইমস-এর কর্মকর্তা ড. রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সাধারণ স্বাস্থ্য সতর্কতা হিসেবে সব ধরনের গোশতই খুব ভালভাবে ধুয়ে ও সিদ্ধ করে ভাবে রান্নার পরই খাওয়া উচিত।’
পাশাপাশি ড. গুলেরিয়া এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন যে, ‘তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলেই করোনাভাইরাসের দৌরাত্ম্য কমবে ও ক্রমে তা অদৃশ্য হয়ে যাবে। ওই ভাইরাসের প্রভাব সিঙ্গাপুরের মতো উষ্ণ আবহাওয়া কিংবা ইউরোপের দেশগুলোর মতো শীতল আবহাওয়া উভয় ক্ষেত্রেই প্রভাবশালী।’
এইমসের চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অ্যালকোহল সেবন করলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব- এই দাবিও সঠিক নয়। লবঙ্গ বা অন্য কোনো ওষুধ সেবন করলেও তা করোনা সংক্রমণ এড়াতে কোনোভাবে সাহায্য করে না।’
এই মারণ ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচতে তিনি সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন, খাওয়ার আগে হাত ভাল করে ধুতে। সংক্রমণ এড়াতে প্রতি ১ ঘণ্টা অন্তর সাবান দিয়ে হাত ধোওয়ার কথা বলেন তিনি। সাবান না থাকলে তার পরিবর্তে কেউ স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন বলে জানান তিনি। সূত্র : ইকোনমিক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।