Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে নেটিজেনদের শ্রদ্ধা

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০২০, ১:৪৯ পিএম

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এই অবিসংবাদিত নেতার জন্ম। তাঁর জন্মশতবার্ষিকী ঘিরে বছরব্যাপী পালিত হবে মুজিববর্ষ। আজ তাঁর জন্মদিনকে ঘিরে পালিত হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেটিজেনরা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জানাচ্ছে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও তাঁকে নিয়ে তাদের নানা অনুভুতি এবং ভাবনার কথা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তার ফেইসবুক পেইজে বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখেছেন। তিনি লিখেন, প্রিয় বঙ্গবন্ধু, আমার ভালোবাসা নিন। আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনাকে ভালোবাসতে হলে আওয়ামী লীগ হওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নেই লোভী হওয়ার কিংবা ভীত হওয়ার। একচোখা বা মনগড়া ইতিহাস পড়ার, গড়ার। প্রয়োজন নেই মানুষকে দু:খে রেখে আতসবাজি উল্লাসের, কিংবা বাধ্যতামূলক বা চতুর বিনয়ের। আপনাকে ভালোবাসতে লাগে কিছুটা বিবেক কিছুটা যুক্তিবোধ, নিজের মানচিত্র চেনা আর সামান্য একটু মনুষত্যবোধ। আমি আপনাকে ভালোবাসি। কিছু দু:খ, কিছু অভিযোগ নিয়েও ভালোবাসবো সকল সময়। কারণ আপনার কাছে আমরা পেয়েছি অনেক অনেক বেশী। কারণ আপনি তুলনাহীন আত্নত্যাগে, সাহসে আর দেশপ্রেমে। কারণ আপনি না জন্মালে সেদিন স্বাধীন হতোনা বাংলাদেশ। আর আমিও আজকে থাকতাম না আমার জায়গায়। আমরা কেউ থাকতাম না আমাদের জায়গায়। আপনাকে আরো ভালোবাসি। কারণ দেখেছি আপনার অজস্র হাসি, আপনার সাথে রাসেলের ছবি। প্রিয় বঙ্গবন্ধু, আমার ভালোবাসা নিন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আল্লাহ্ আপনাকে ভালো রাখুন।’

‘অনেক নেতা নাকি চেলা পোষেন মিটিংয়ে বক্তৃতা প্রদানকালে তালি দেওয়ার জন্য, স্লোগান দেওয়ার জন্য। অথচ উপস্থিত জনতাই পাগলের মতো তালি দেয়, গলা ফাটিয়ে গ্লোগান দেয় যদি নেতা জনতার মনের কথা বলতে পারেন। আমাদের একজন নেতা ছিলেন, যিনি গণমানুষের মনের কথা বলতে পারতেন। তাই তো তাঁর জনসভা মানেই ছিল উত্তাল সমুদ্রের গর্জন। শুভ জন্মদিন নেতা।’ - লিখেছেন লেখক ও টিভি উপস্থাপক ইকবাল খন্দকার।

শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি শেয়ার করে ব্যাংক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম লিখেন, ‘বাংলাদেশ সে তো তোমারই জন্য। তাই তোমার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, হে মহান নেতা।’

‘শুভ জন্মদিন পিতা। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিনে রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। শুভ জন্মশতবার্ষিকী।’ - শ্রদ্ধা নিবেদন করে লিখেন এমডি মহিউদ্দিন মানিক।

শামসুল এইচ খান লিখেন, সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহান নেতা যায় ডাকে বাংলাদেশের ৯৯% লোক মৃত্যুকে স্বীকার করে নিয়ে বিশাল এক সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে; তিনিই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। তার ১০০ তম জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি । মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আল আলামিন যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন । স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাঙালী জাতি একমাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বুকে ধারণ করে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছে। তার কিছু প্রমাণ এখানে দেওয়া হলো। ১. জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। ২. তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিবুর শেখ মুজিব। ৩. এক নেতা এক দেশ, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ। ৪. শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে উঠে রনি বাংলাদেশের আমার বাংলাদেশ । স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই সব শ্লোগান ও গান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা ও শক্তি যুগিয়েছে।’

মির্জা মেহেদী তমাল লিখেন, ‘তুমি জন্মেছিলে বলেই পেয়েছি দেশ / মুজিব তোমার আরেক নাম বাংলাদেশ।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোশাল মিডিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ