পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৫১ জন ভারতীয় নাগরিককে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন ছেড়ে গেছে ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেস। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ট্রেনটি। অন্যদিকে, বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে খুলনা-যশোর-কলকাতা রুটের ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচল করা এ ট্রেনটি ১৫ মার্চ থেকে এক মাস বন্ধ থাকবে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ট্রেনটির টিকিট কেটেছিলেন ১৩৮ জন। তার মধ্যে ৫৪ জন ভারতীয় নাগরিক। ইমিগ্রেশন শেষে যাত্রা করেছেন ৫১ জন। বাংলাদেশি নাগরিকরা ট্রেনের টিকিট কাটলেও অনুমতি না থাকায় তারা যেতে পারেননি। বাংলাদেশি নাগরিকদের আটকে দেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
শর্মিষ্ঠা নামের এক বাংলাদেশি যাত্রী বলেন, আমি কলকাতায় পড়াশোনা করছি। আমার ইন্টার্নশিপ চলছে। আজকে না যেতে পারলে আমার ইন্টার্নশিপ পিছিয়ে যাবে। আগে থেকে আমাদের জানানো হয়নি যে বাংলাদেশি নাগরিকরা যেতে পারবে না। তাহলে এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন মেডিকেল ভিসাধারী আরেক বাংলাদেশি নাগরিক আশরাফ আলী। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যেতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু ইমিগ্রেশন থেকে জানানো হলো কোন বাংলাদেশি নাগরিক যেতে পারবে না। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। আমার জন্য বেশ সমস্যা হয়ে গেলো।
যাত্রীদের এসব অভিযোগ নিয়ে রেলের এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতীয় নাগরিকসহ ইউএন ভিসা, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ভিসা, অফিশিয়াল ভিসা ধারীরাই শুধুমাত্র যেতে পারবেন। বাংলাদেশি নাগরিক যারা যেতে পারেননি তাদের টিকিটের টাকা আমরা ফেরত দিয়ে দিবো।
এদিকে, রেল সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ২৪৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। তবে ট্রেনটিতে কোনো ভারতীয় নাগরিক নেই।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে ভারত সরকার ১৩ মার্চ থেকে ভিসা স্থগিত করে বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে স্থলপথ ও আকাশ পথে আপাতত ভারত প্রবেশে সুযোগ থাকছে না। যে কারণে আন্তর্জাতিক রুটের ট্রেন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ ট্রেন চলাচল বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খুলনা-যশোর-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল ১৫ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল এক মাস সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।