পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামিক-চীনা বৈশিষ্ট্য দু’টি স্থানের বন্ধন ও সংস্কৃতির প্রতিফলন
অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নকশায় একটি ইসলামিক-শৈলীর গম্বুজ এবং একটি চীনা গিঁট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধন এবং দুটি স্থানের সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে। ইসলামিক বিশ্বের স্থাপত্য ঐতিহ্য চিত্তাকর্ষকভাবে সমৃদ্ধ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
বাংলাদেশে মসজিদ, প্রাসাদ, সমাধি এবং দুর্গসহ অনেক আইকনিক ইসলামিক কাঠামো রয়েছে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যের আরো সা¤প্রতিক সংযোজন হল চীন সরকারের অর্থায়নে নির্মিত ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু।
প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার ওয়েং চ্যাংমিন স¤প্রতি সিনহুয়াকে বলেছেন, সেতুটি তৈরি করতে চার বছরেরও বেশি সময় লেগেছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
কাঠামোটি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি প্রমাণ। সেতুর নকশায় একটি ইসলামিক-শৈলীর গম্বুজ এবং একটি চীনা গিঁট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধন এবং দুটি স্থানের সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে।
আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ চীন-বন্ধুত্ব সেতু নামে পরিচিত ২.৯৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু রাজধানী ঢাকা থেকে ১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পিরোজপুর জেলার কোচা নদী অতিক্রম করেছে। এটি এ অঞ্চলের একটি অপ্রত্যাশিত পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
দর্শনার্থী নাসরিন জাহান মুক্তা সিনহুয়াকে বলেন, ‘আমি অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু দেখতে এসেছি। এটি অবিশ্বাস্যভাবে সুন্দর। সেতুটি থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে। চীন সবসময় বন্ধু ছিল এবং আশাকরি বাংলাদেশের বন্ধু থাকবে। তাদের অনেক ধন্যবাদ’।
আরেক দর্শনার্থী শাহনেওয়াজ খান বলেন, ব্রিজের দুই পাশের গেট ও রেলিংগুলো মুসলিম মসজিদের নকশার আদলে তৈরি এবং খুবই সুন্দর।
‘এর জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং চীন সরকারকে অনেক ধন্যবাদ’ তিনি বলেন, সেতুটি এ অঞ্চলে আরেকটি বিপজ্জনক ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
সাইফুল ইসলাম নামে আরেক পর্যটক বলেন, আগে নদী পার হওয়া কতটা কঠিন ছিল। ‘ওপারে যাওয়ার সময় আমাদের অনেক কষ্ট হতো। এখন একটা ব্রিজ থাকায় আমরা পিরোজপুর থেকে কাউখালী পর্যন্ত আসা-যাওয়া করতে পারি কোনো অসুবিধা ছাড়াই। আর ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না’। ১৯৮০ এর দশক থেকে বাংলাদেশে চীনের সহায়তায় আটটি বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।