পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা আঞ্চলিক সড়কের কঁচা নদীতে নির্মাণাধীন অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে পিরোজপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চিত্র। সেতুটি নির্মাণের ফলে দেশের সব এলাকার সঙ্গে পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরি হবে। আর এতে করে পিরোজপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন নতুন কলকারখানা। পদ্মা সেতুর সঙ্গেই এ সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চলে যোগ হবে নতুন মাত্রা।
পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) অফিস সূত্রে জানা গেছে, চীন সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় প্রায় ৮২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালে ৯৯৮ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করে চীনের একটি বেসরকারি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, যা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নির্ধারিত সময়ে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর সওজ বিভাগের কর্মকর্তারা। ৮টি পিলার ও ২টি ভায়াডাক্টের ওপর ৯টি স্প্যান দিয়ে নির্মিত এ সেতুটির দুই পাশে প্রায় ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক থাকবে।
বর্তমানে কঁচা নদী পার হতে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা আঞ্চলিক সড়কের কুমিরমারা-বেকুটিয়া ফেরিটি ব্যবহার করতে হয়। কোনো কারণে একটি ফেরি ধরতে না পারলে তাদের সেখানে কমপক্ষে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। আর গাড়ির লাইন দীর্ঘ হলে তো কথাই নেই। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় রাতের বেলা। তবে সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে সাধারণ মানুষকে এ ভোগান্তি পোহাতে হবে না। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে দক্ষিণাঞ্চলের এ জেলায়। খুব অল্প সময়েই যানবাহনগুলো তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।
পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র ও পিরোজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান মালেক জানান, কঁচা নদীতে নির্মাণাধীন অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে পিরোজপুর জেলার অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যাবে। জেলায় তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার কারণে কলকারখানা তৈরি হবে এবং ব্যবসায়ীরা নানাভাবে উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সওজ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, সেতুটির সব পিলার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এ পর্যন্ত সেতুটির ৬৫ ভাগের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেতুটির কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা তার।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা আঞ্চলিক সড়কের কঁচা নদীতে নির্মাণাধীন অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হবে। এ সেতুটি চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষের যোগযোগের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক সৃষ্টি হবে। অর্থনৈতিকভাবে এ অঞ্চল আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।