Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্র-স্পেনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

করোনার নতুন কেন্দ্রস্থল ইউরোপ : হু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব। এর আঁচ লেগেছে মার্কিন মুলুকেও। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরিস্থিতির মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, তা ঘোষণা করেছেন তিনি। এও জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে আরও অর্থ লাগবে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আজ যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় প্রার্থনা দিবস পালনেরও ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার পাশাপাশি স্পেনেও জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত অন্তত ২ হাজার ৫১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন অর্ধশত মানুষ। বিশ্বের অন্তত ১৪৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস। বিশ্বব্যাপী এতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৮ জন, আর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২৩ জন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের মোকাবিলায় শুক্রবার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য হাত বাড়িয়ে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিকিৎসার জন্য নিজের ৩ মাসের বেতন দান করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। ২০১৯-এর শেষ তিন মাসের বেতন মার্কিন স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে তুলে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব স্টিফানি গ্রিশ্যাম মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেয়া চেকের ছবি টুইট করে এই তথ্য জানান।

এরপর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশজুড়ে জরুরি অবস্থার কথা ঘোষণা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, আগামী ৮ সপ্তাহ আমেরিকার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ভেবেচিন্তে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে। কোভিড-১৯-কে হারানোর জন্য চিকিৎসক ও জনসাধারণকে অনেক কিছু শিখতে হবে বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধও করেন। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি তিনি এও ঘোষণা করেছেন, চিকিৎসার জন্য আমেরিকার বিভিন্ন প্রাদেশিক সরকার ও অঞ্চলগুলি আপৎকালীন ত্রাণ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৫০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত দেবে মার্কিন প্রশাসন। এ ছাড়া চিকিৎসা বিমার উপর আরোপিত নিয়মও জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে শিথিল করা হয়েছে।
গতকাল পর্যন্ত স্পেনে ১৩৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৭শ’ ৫৩ জনে। শুক্রবার রাতেও এই সংখ্যা ছিল ৪,২৩১ জন। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ শিগগিরই সঙ্কট মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্রের উত্তরণ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে এই দ্বিতীয়বার জরুরি অবস্থা জারি হল। প্রথম জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল ২০১০ সালে, যখন বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারীরা ধর্মঘট করেছিল। স্থানীয় ব্যবস্থা ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। মাদ্রিদ এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ বেশিরভাগ পানশালা, রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শুধুমাত্র খাবারের দোকান, ফার্মেসি এবং পেট্রোল স্টেশনগুলো খোলা রাখতে দেয়া হয়েছে। গ্যালিসিয়া এবং কাতালোনিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেভিল শহরের মেয়র জানিয়েছেন, যে তিনি দক্ষিণের বিখ্যাত ইস্টার মিছিলের আয়োজন স্থগিত করেছেন।

কাতালান আঞ্চলিক নেতা কুইম টোরা বলেছেন যে, তিনি পুরো অঞ্চলটি ঘেরাও করে ফেলতে চান এবং তিনি মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষকে বিমান, রেল ও সমুদ্রপথে প্রবেশ বন্ধ করতে বলেছেন। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সও স্পেনের ফ্লাইট বন্ধ করে দিচ্ছে। গতকাল জেট-টু নামের এয়ারলাইন্স সব ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিলে, আকাশের মাঝপথে থাকা অবস্থায় বিমান ফিরিয়ে আনা হয়।

ইউরোপ এখন করোনাভাইরাস মহামারীর কেন্দ্র বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাবিøউএইচও বা হু)। চীনের পর করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ইউরোপের দেশগুলোকে। বৃহস্পতিবার শুধু ইতালিতেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইশ পঞ্চাশ জন মানুষ মারা গেছে। বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘বৈশ্বিক মহামারী’ ঘোষণা করেছে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে হু’র টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পাঁচ হাজার ৪০৩ জন মানুষ মারা গেছে। এটা খুবই চিন্তার বিষয়।’

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৪০৩ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৮৩ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজার ৯২০ জন।

ইউরোপের দেশ ইতালিতে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এ ভাইরাস। ইতালিতে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৬৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১ হাজার ২৬৬ জন। সমান তালে পাল্লা দিয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনের হিসাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর। এ ছাড়া আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

‘প্রার্থনা দিবস’ ঘোষণা ট্রাম্পের
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রোববার (আজ) যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় প্রার্থনা দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকরোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শুক্রবার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই এ আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গতকাল এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সসম্মানে ১৫ মার্চকে জাতীয় প্রার্থনা দিবস ঘোষণা করছি। ইতিহাস অনুসারে আমরা এমন এক দেশ, যারা এমন পরিস্থিতিতে সুরক্ষা ও শক্তির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে যাই।’ আরেক টুইটে তিনি বলেন, ‘যে যেখানেই থাকেন, সবাই বিশ্বাস করে প্রার্থনায় অংশ নিন। একসঙ্গে আমরা সহজেই জয়ী হবো!’

সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর খ্রিস্টান ও ক্যাথলিক স¤প্রদায়ের একটা বড় অংশই ট্রাম্পের অনুসারী। তাদের ভোট ধরে রাখতে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে রিপাবলিকান সরকার। যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণাসহ সরকারি স্কুলগুলোতে প্রার্থনা আয়োজনে জোরালো ব্যবস্থা নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া, ধর্মীয় সংগঠনগুলো যেন ফেডারেল সরকারের হাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়েও বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ইরানে আরো ৯৭ জনের প্রাণহানি
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে আরো ৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১১। চীন ও ইতালির পর দেশটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ১২ হাজার ৭২৯ জন।

মোদির প্রস্তাবে সাড়া দিলেন ইমরান খান
প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার যে আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তাতে সম্মতি জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মোদির আহ্বানের একদিন পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আয়েশা ফারুকী এই মহামারি মোকাবেলায় আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিকভাবে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন।

গতকাল সকালের দিকে পাক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রস্তাবিত ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ সহকারীকে (স্বাস্থ্য) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। টুইটে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর হুমকি মোকাবিলার জন্য সমন্বিত আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক প্রচেষ্টা দরকার। এই ইস্যুতে সার্কভুক্ত সদস্য দেশগুলোর ভিডিও কনফারেন্সে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ স্বাস্থ্য সহকারী অংশ নেবেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

পাকিস্তানের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতিবেশিদের সহায়তায় প্রস্তুত আছে পাকিস্তান। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ইতোমধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক টুইটে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রতিবেশি এবং সার্কের সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। করোনা মোকাবিলায় উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণের প্রস্তাব দেন তিনি।

টুইটে মোদি বলেন, আমি প্রস্তাব করছি, সার্কের নেতারা করোনাভাইরাসের লড়াইয়ে শক্তিশালী এক কৌশল নির্ধারণ করবেন। আমাদের নাগরিকদের সুস্থ রাখতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারি।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার সদস্য। মোদির ওই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। মোদির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। এক টুইটে তিনি বলেছেন, মহৎ এই উদ্যোগের ধন্যবাদ নরেন্দ্র মোদি। আমরা এই আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুত।

ভারতে এখন পর্যন্ত ৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে অন্তত দুজনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। অন্যদিকে, বাংলাদেশে ৩ জন করোনা সংক্রমিত হলেও বর্তমানে তাদের দু›জন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

হাসপাতাল থেকে মার্কিন দম্পতিসহ ৭ রোগীর পলায়ন
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে থাকা পাঁচ রোগী পালিয়ে গেছেন। একইভাবে পালিয়ে গেছেন এক মার্কিন দম্পতিও। এই ঘটনা ঘটেছে ভারতে। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের মেয়ো হাসপাতালে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে একই দিনে কেরলের আলাপ্পুঝা জেলার একটি হাসপাতালে। গতকালই অবশ্য দুই রাজ্যেরই পুলিশ তাদের খুঁজে বের করেছে।

জানা গেছে, শুক্রবার শরীরে করোনা ভাইরাসের ল²ণ নিয়ে মেয়ো হাসপাতালে গিয়েছিলেন পাঁচ রোগী। তাঁদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিন্তু রাতের মধ্যেই পাঁচজনই কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে যান নাগপুর তহসিল থানার এসআই এস সূর্যবংশী। প্রাথমিক জেরায় হাসপাতাল কর্মীরা পুলিশকে জানান, বিকেলের খাবার খেতে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে আর ফেরেননি রোগীরা। তবে শনিবার সকালে তিনজন নিজেরাই ফের হাসপাতালে ফিরে যান।

এদিকে, শুক্রবারই কেরালার আলাপ্পুঝা জেলার একটি হাসপাতাল থেকেও স্ক্রিনিং এড়িয়ে পালিয়ে যান করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি এক বিদেশি দম্পতি। মার্কিন নাগরিক হলেও ওই দম্পতি লন্ডনের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ওই দম্পতি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত বলে সন্দেহ হওয়ায় তাদের স্ক্রিনিং করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতাল কর্মীদের চোখ এড়িয়ে তারা পালিয়ে যান। শুক্রবার গভীর রাতেই কোচি বিমানবন্দর থেকে ওই দম্পতিকে আটক করা হয়। তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্র : ফক্স নিউজ, বিবিসি, এএফপি, সংবাদ প্রতিদিন।



 

Show all comments
  • Chowdhury Sazid ১৫ মার্চ, ২০২০, ৪:৫৪ এএম says : 0
    মন্তব্যের জায়গা খালি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ