পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আপাতত এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে না ঢাকা-মাওয়া চার লেন মহাসড়ক। কারণ এ মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের বেশ বড় একটি সময় ধরে কোনো টোল দিতে হবে না। আগামী বছর যখন পদ্মাসেতু চালু হবে, তখন থেকে এই এক্সপ্রেসওয়েতে টোল নেওয়া শুরু হবে। এতে করে এই এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো গাড়িই আর বাধাহীনভাবে চলতে পারবে না। বরং কিছুদুর পর পর বাস- বে তৈরীর করার জন্য যানজটের আশঙ্কাও রয়েছে।
ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত এই এক্সপ্রেসওয়েতেই পদ্মাসেতুর মাধ্যমে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত হবে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২৫টি জেলা। গত বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, আগামী বছর পদ্মাসেতু চালুর দিন থেকে সমন্বিতভাবে এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় করা হবে। তবে এই মহাসড়কে যেসব সেতু রয়েছে, সেগুলোর টোল দিতে হবে।
সেতু কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জুনে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হবে। তখন সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে। একই সময় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য টোল আদায় শুরু হবে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। সংস্থাটি বলছে, এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলেও আগের মতোই কেবল সেতুগুলোর টোল দিয়ে গাড়িগুলো চলছে। এখন এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলেও টোল লাগছে না।
এই এক্সপ্রেসওয়ের টোল কত হতে পারে- জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, টোল প্লাজা ও পদ্মাসেতু নির্মাণের পর টোল আদায়ের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
স্বপ্নের পদ্মাসেতু চালু হলে মূলত সেতু আর এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশের অংশ মিলিয়ে দৈর্ঘ্য হবে ৫৫ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ের শুরুটা ঢাকার যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে। সেতুর এ পাড়ের অংশটি শেষ হয়েছে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে। অন্যদিকে, সেতুর ওপাড়ে শরীয়তপুর-মাদারীপুর হয়ে এক্সপ্রেসওয়ে শেষ হয়েছে ফরিদপুরে গিয়ে। মাঝখানে সাড়ে ৯ কিলোমিটার পদ্মাসেতু আর দুই পাড়ের সংযোগ সড়ক মিলিয়ে রয়েছে ১২ কিলোমিটার।
যাত্রাবাড়ী থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়েতে বাধাহীনভাবে যান চলাচলের জন্য রয়েছে ছয়টি ফ্লাইওভার, ৩১টি সেতু, ১৯টি আন্ডারপাস। এছাড়া ধলেশ্বরী নদীসহ চারটি বড় সেতু রয়েছে এক্সপ্রেসওয়েতে। ৫৫ কিলোমিটারের এই সড়কের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন অংশ ভাঙ্গা মোড়ের ক্লোভারলিফ। এই অংশটি যেন চার পাঁপড়ির এক ফুল, কিংবা ডানা মেলা প্রজাপতি।
এক্সপ্রেসওয়ে ঘুরে দেখা গেছে, ৫৫ কিলোমিটারের কিছু কিছু অংশে এখনো শেষ মুহূর্তের কাজ বাকি। কাজ পুরোপুরি শেষ হতে আরও মাস দুয়েক লাগবে। তবে এসব কাজ ছাড়াও এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে বাধা নেই বলেই এটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছেন- এমন কয়েকজন চালক ও যাত্রী জানান, এই এক্সপ্রেসওয়েতেও যানজটের আশঙ্কা করছেন তারা। তারা জানান, ঠিক মহাসড়ক ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে বাস বে, যা এক্সপ্রেসওয়েতে সাধারণত দেখা যায় না। এসব স্থানে যানবাহন থেকে যাত্রী ওঠানামা করানো হলে বাস বে এলাকা ঘিরে যানজট দেখা দিতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, এছাড়া যাত্রাবাড়ী পেরিয়ে বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু পার হওয়ার পথেও যানজট দেখা দিতে পারে। কারণ সেতুটি চার লেনের হলেও প্রশস্ত নয়। এক্সপ্রেসওয়ের জন্য এই অংশে আলাদা সেতু তৈরি করা হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন নতুন করে সেতু নিমার্ণের প্রস্তাব করা হয়েছে এই জায়গাটিতে।
২০১৯ সালের মে মাসে এই এক্সপ্রেসওয়ে চালুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি। একবছর বেশি সময় নিয়ে নির্মিত এই মহাসড়কের পেছনে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। কিলোমিটার হিাসেবে ব্যয় ধরলে এটি দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।