রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পূর্ব শত্রু তার জের ধরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাইল ইউনিয়নের সুবর্নকোলা এলাকায় আছাদুজ্জামান খান আসাদুল (৩৭) নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। শিক্ষক আছাদুজ্জামান কসবামাইল ইউনিয়নের সুবর্নকোলা এলাকার মৃৃত খোরশেদ আলীর ছেলে। ও স্থানীয় সেনগ্রাম দাখিল মাদরাসার শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান ও পরাজিত চেয়ারম্যান জজ আলী মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতী সরকারি খাস জমি (কোল) দখলকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়। সেই সাথে বেশ কিছু বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। নিহত আছাদুজ্জামান খানের ভাতিজা সাদ্দাম খান বলেন, আমার চাচা গতকাল শুক্রবার ভোর ৬ টার দিকে আমার অসুস্থ দাদা মো. খলিলুর রহমান খান (৯০) কে দেখে রাস্তায় আসার সময় একদল দুর্বৃত্ত তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পায়ে এবং বুকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর হত্যাকারীরা তার লাশ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এ সময় স্থানীয়রা দেখে ফেললে গড়াই নদীর পাড়ে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। নিহতের ভাতিজা দাবি করেন বৃহস্পতিবারের মারামারির রেশ ধরেই স্থানীয় জর্জ আলী বিশ্বাসের লোকজন আছাদুজ্জামানকে হত্যা করেছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সাথে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যপারে মামলার প্রস্তুুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।