পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সবগুলো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বন্ধ হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও নভোএয়ার তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
অন্যদিকে, ঢাকা থেকে কলকাতা রুটে বাস চলাচল বন্ধ হচ্ছে আজ শুক্রবার থেকে। ভারত সরকার ১৩ মার্চ থেকে তাদের দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তার প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্তর্জাতিক রুটে বাস চলাচল করা পরিবহন মালিকরা। ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী ও খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিমান ভারতের কলকাতা রুটে সপ্তাহে ১৪টি এবং দিল্লীতে ৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিমান ভারতে তার সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ভারত সরকার আজ ১৩ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ ভিসায় ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মতো রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারও তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (পিআর) কামরুল ইসলাম জানান, যেহেতু ভারত সরকার ১৪ মার্চ থেকে তাদের দেশে পর্যটন ভিসায় সেদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সও সেই নিয়ম মেনে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করছে। তবে ১৫ মার্চ ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে এবং এটিই হবে শেষ ফ্লাইট।
নভো এয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার (মার্কেটিং) মাহফুজুর রহমান বলেন, মূলত ভারতে ফিরতি ফ্লাইটের যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতেই সর্বশেষ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার।
বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিল্লী, কলকাতা ও চেন্নাই রুটে দেশীয় তিন এয়ারলাইন্স সপ্তাহে মোট ৩৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের আকাশপথে যাত্রী কমেছে। এর আগে যাত্রী সংকটে পড়ে ১০টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট কমিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এছাড়া ঢাকা-কুয়েত ও ঢাকা-কাতার রুট পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বিমান। বিমান সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীর অভাবে ১০ রুটে ফ্লাইট সংখ্যা ৬১ থেকে ৩১টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্কে আকাশপথে সবচেয়ে বেশি যাত্রী কমেছে ঢাকা থেকে চীনের বিভিন্ন রুটে। এ কারণে ঢাকা থেকে চীনের চলাচলকারী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন তাদের ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বের নামি-দামি অনেক এয়ারলাইন্স চীনের মূল ভূখÐে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দিয়েছে।
বিমান চলাচল খাতে ভয়াবহ অশনি সংকেত দেখা গিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) বলছে, যেভাবে এয়ারলাইন্সগুলোতে যাত্রী কমে গিয়েছে তাতে এ খাতে এ বছরে ২৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান হবে। এর মধ্য এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের এয়ারলাইন্সগুলোর লোকসান দেবে ২৭.৮ বিলিয়ন ডলার। আর এশিয়ার বাইরে ১.৫ বিলিয়ন ডলার লোকসান হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আইএটিএ বলছে, চীনের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল খাতে লোকসান হবে ১২.৮ বিলিয়ন ডলার। ট্রেড বডিগুলো বলছে, এয়ারলাইন্সগুলোতে ১৩ শতাংশ যাত্রী কমেছে, যার বেশিরভাগ চীনে।
আজ থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে মালিক সূত্রে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্যামলী এন আর পরিবহনের মালিক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে শেষ বাস। আজ শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৩টার পর থেকে প্যাসেঞ্জারসহ আর কোনো বাস ভারতের বর্ডার ক্রস করতে পারবে না । সেজন্যই সব গাড়ি বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা-কলকাতা এবং ঢাকা-শিলিগুড়ি রুটের সকল গাড়ি এর আওতায় থাকবে। অগ্রিম টিকিট কাটা বাস যাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেসব যাত্রীরা ১২ মার্চের পরে অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন তারা চাইলে কাউন্টারে গিয়ে টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের সব দেশের নাগরিকদের ভিসা স্থগিত করেছে ভারত সরকার। ১৩ মার্চ রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে এই স্থগিতাদেশ থাকবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।