পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে প্রতি বছর নতুনভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। শতকরা ১০ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ক্রনিক কিডনি রোগে ভুগছেন। কিন্তু নানাবিধ সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং অবকাঠামোগত প্রতিকূলতার কারণে মাত্র ১০ শতাংশ রোগী এই ধরণের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাই কিডনি রোগ প্রতিরোধ ও যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বিশ^ কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে এই সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগ, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন, কিডনী ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ ও কিডনী এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সাঈদ ও বাংলাদেশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের প্রাক্তন দলনেতা গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) ও বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম। আরো বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন-অর-রশিদ, ক্যাম্পসের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশন থেকে ৮ জন কিডনি বিশেষজ্ঞ গুণী চিকিৎসককে আজীবন সম্মাননা স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিএনএসবি)-এর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে ‘শিশু কিডনী রোগের গুরুত্ব ব্যাপ্তি, চিকিৎসা ও প্রতিকার এবং শিশু কিডনী রোগের সীমাবদ্ধতা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আরেকটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনাইটেড হসপিটালে বিশ্ব কিডনি দিবস পালন
বিশ্ব কিডনি দিবস উদযাপনে প্রতিবছরের মতো এবারও ইউনাইটেড হসপিটালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ হসপিটালে আগত রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য হসপিটাল লবীতে একটি হেলথ চেক বুথ উদ্ধোধনের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করেন। এই উপলক্ষে হসপিটালের চীফ নেফ্রোলজি কনসাল্টেন্ট ও ডিরেক্টর, রেনাল সেন্টার প্রফেসর ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের সব জনগোষ্ঠীর প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিডনি রোগের এই প্রকট অবস্থার জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব কিডনি দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে। কিডনি ও এর জটিলতার সৃষ্ট সকল রোগের চিকিৎসায়, ইউনাইটেড হসপিটালের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
নেফ্রোলজি কনসাল্টেন্ট ডা. তানভীর বিন লতিফ বলেন, এ দেশে বেশ কিছু ডায়ালাইসিস সেন্টার গড়ে উঠেছে, যেখানে প্রধানত হেমোডায়ালাইসিসই দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও নেফ্রোলজি কনসাল্টেন্ট ডা. তানিয়া মাহবুব বক্তব্য রাখেন। এ সময় ইউনাইটেড হসপিটালের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান, চীফ অব কমিউনিকেশন এন্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. শাগুফা আনোয়ার সহ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও হসপিটালের চিকিৎসক ও নার্সদের উপস্থিতিতে কিডনি রোগ রোধে ও চিকিৎসায় উন্নত ব্যবস্থা বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।