দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
উত্তর : কুরআনুল করীম আল্লাহ্ তাআলার ওহী, আল্লাহ্ তাআলার নৈকট্য লাভের মাধ্যম, সকল আসমানী কিতাব সমূহের সারাংশ, সকল জ্ঞানের ঝর্ণাধারা, হিদায়তের সমষ্টি, রহমত এবং বরকতের ভান্ডার, এমন নূর যা দ্বারা পথভ্রষ্টতার
সকল অন্ধকার দূর হয়ে যায়, সংশোধন এবং প্রশিক্ষণের এমন এক ব্যবস্থা যা মানুষের জাহির এবং বাতিনকে পবিত্র করে তাকে অতুলনীয় বানিয়ে দেয়, এমন বিশ্বস্ত সাথী যে কবরেও সঙ্গ অবলম্বন করে, অন্তিম মুহুর্তে ও কবরে এবং হাশরে বিশ্বস্ততার হক আদায় করবে। এতে রোগাক্রান্ত মনের শিফা রয়েছে, যে একে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরলো সে হিদায়ত প্রাপ্ত হয়ে গেলো, যে এর উপর আমল করলো সে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা পেয়ে গেলো। ইরশাদ হচ্ছে: নিশ্চয় এই কুরআন ওই পথ দেখায়, যা সর্বাপেক্ষা সোজা। (সূরা বনী ইসরাঈল: আয়াত-৯) অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে: আর আমি আপনার উপর এই কুরআন অবতীর্ণ করেছি, যা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বিবরণ, হিদায়াত, দয়া ও সুসংবাদ মুসলমানদের জন্য। (সূরা নাহল:আয়াত-৮৯) মহান আল্লাহ তায়া’লা আরো ইরশাদ করেন: এটা (কুরআন) মানব জাতির জন্য স্পষ্ট বর্ণনা ও পথ-প্রদর্শন এবং পরহেযগারদের জন্য উপদেশ।(সূরা আলে ইমরান:আয়াত- ১৩৮)
মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উপরোক্ত আয়াতের আলোকে বলেন: কুরআন শরীফের সাধারণ ফয়যান তো সাধারণ লোকের জন্য অর্থাৎ সকল কিছু বর্ণনা স্পষ্ট, কিন্তু বিশেষ ফয়য বিশেষ লোকের জন্য অর্থাৎ হিদায়ত দেয়া এবং সঠিক পথে লাগিয়ে দেয়া। (তিনি আরো বলেন:) কুরআনে করীমের বর্ণনা বা হিদায়ত হওয়া আমাদের জন্য, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য নয়, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম কে পূর্ব থেকেই সবকিছু শেখা পড়া এবং বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিলো এবং তিনি (হুযুর) আগে থেকেই হিদায়তের উপর ছিলেন। (তাফসীরে নঈমী, ৪/২০০)
হযরত মাওলা আলী শেরে খোদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: অতি শীঘ্রই একটি ফিতনা সৃষ্টি হবে। আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ! এর থেকে বাঁচার উপায় কি হবে? হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: আল্লাহ্ তাআলার কিতাব, যাতে তোমাদের পূববর্তী ও পরবর্তীদের সংবাদ রয়েছে এবং তোমাদের পরস্পরের সিদ্ধান্ত রয়েছে, কুরআন হচ্ছে সিদ্ধান্ত প্রদানকারী এবং এটি কোন উপহাস নয়। যে অত্যাচারী একে ছেড়ে দেবে আল্লাহ্ তাআলা তাকে ধূলিস্যাৎ করে দেবেন এবং যে তা ব্যতীত অন্য কোথাও হিদায়ত খুঁজবে আল্লাহ্ তাআলা তাকে পথভ্রষ্ট করে দেবেন, তা আল্লাহ্ তাআলার শক্ত রশি এবং প্রজ্ঞাময় আলোচনা, তা হলো সঠিক পথ, কুরআন হলো এমন কিতাব, যার বরকতে কামনা বাসনা বিকৃত হয় না, অন্য ভাষা মিশ্রিত হয়ে একে সন্দেহপূর্ণ বানাতে পারে না, যার প্রতি ওলামারা উদাসীন হয় না, যা অধিকহারে পূনরাবৃত্তি করাতে পুরোনো হয় না, যার বিস্ময় শেষ হয় না, কুরআনই হলো এমন কিতাব, তাই যখন তা জ্বিনেরা শুনলো তখন এরূপ না বলে থাকতে পারলো না যে, আমরা আশ্চার্য কুরআন শুনলাম যা কল্যাণের প্রতি অগ্রণী ভূমিকা রাখে, তখন এর উপর ঈমান আনয়ন করলো, যে কুরআনের বক্তা সে সত্যবাদী, যে এর উপর আমল করেছে সে সাওয়াব পাবে, যে এর অনুযায়ী বিচার করবে সে ন্যায়পরায়ন হবে এবং যে এর দিকে ডাকবে তবে সে অবশ্যই সঠিক পথের দিকে আহবান করলো। (জামে তিরমিযী, ৪/৪১৪, হাদীস নং-২৯১৫)
উত্তর দিচ্ছেন : মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাসুম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।