বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট এককালে জাতীয় পার্টির দূর্গ ছিল। পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও বলতেন দ্বিতীয় বাড়ি তার সিলেটে। এখন জাপার সেই দিন, সেই কর্মী-সমর্থক নেই। দলের জোশ বা স্রোত না থাকলেও আছে শুধু নেতাদের তালিকা। এদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দলাদলি, বিভক্তি থাকলেও দলীয় কার্যক্রম নেই বললেই চলে। তবে দলের আসন ভাগাভাগির চাকায় জাপা বদৌলতে ভাগ্য খুলেছে এমপি হওয়াদের।
এর মধ্যে কেন্দ্র থেকে সদ্য ঘোষিত সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির ১৫ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিকে অবৈধ ও গঠনতন্ত্র বিরোধী উল্লেখ করে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ। গত সোমবার নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতৃবৃন্দ গঠিত কমিটির আহŸায়ক মো. ইশরাকুল হোসেন শামীম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির ৮১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে এ কমিটি নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে কোন উপজেলা/পৌর কমিটি গঠন এবং জেলার সম্মেলন করতে না পারায় অবৈধ হয়ে যায়। এছাড়া এ কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও উঠে। স¤প্রতি দেখা যাচ্ছে, এটিইউ তাজ রহমান ও উসমান আলী কিছু কুচক্রি মহলের সাথে মিলে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি কমিটি গঠন করেছেন।
তিনি বলেন, উপজেলা/থানা কমিটি গঠনের সময় প্রত্যেক উপজেলা/থানা থেকে ২৫ জন কাউন্সিলর জেলার সম্মেলনের জন্য নির্বাচিত হবেন। এছাড়া উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়ন ও পৌরসভা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর হবেন। কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হবে জেলা/মহানগর ইউনিটের নেতৃত্ব। কিন্তু এসব নিয়ম নীতি ও বিধি উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তৃণমূলের পরীক্ষিত, সৎ ও দক্ষ নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত অসৎ ব্যক্তিদের দিয়ে নতুন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির অনেক সদস্যই কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে সড়ে দাড়িয়েছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সিলেটে দাঙ্গাহাঙ্গামার ঘটনাও ঘটছে। যার দায়ভার এই অবৈধ কমিটিকে নিতে হবে।
স¤প্রতি জাতীয় পার্টির ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান করে নিয়েছেন সিলেট জেলার ১৩ নেতা। এর আগে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিলেটের এত সংখ্যক নেতার ঠাঁই হয়নি কখনো। এত পদ পাওয়ার পরও দলের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ। অভিযোগ উঠছে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের অবমূল্যায়নের।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে সিলেট জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির আহŸায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এটি ইউ তাজ রহমানকে আহŸায়ক ও উছমান আলীকে সদস্য সচিব করে জেলা শাখা এবং ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়াকে আহŸায়ক ও অ্যাডভোকেট আবদুল হাই কাইয়ূমকে সদস্য সচিব করে মহানগর জাতীয় পার্টির কমিটি গঠন করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সম্মেলন করে কোনো কমিটি করতে পারেনি দুই আহŸায়ক কমিটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।