মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিধিনিষেধ আরোপ করায় ইতালির কারাগারগুলোতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার দেশটির ২৭টি শহরের কারাগারে দাঙ্গা শুরু করেছে বন্দিরা। এর আগে রবিবার মোদেনা শহরের সেইন্ট অ্যান্না কারাগারে নিহত হয়েছে ছয় বন্দি। এছাড়া সোমবার ভোরে দাঙ্গার সুযোগে ফোগিয়া কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০ বন্দি। আল-জাজিরা জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বন্দীদের আলাদা করা এবং দর্শনার্থীদের ওপর কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সোমবার দুপুরের দিকে পুরো দেশের কারাগারগুলোতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুইটি কারাগারে দাঙ্গা সৃষ্টি হয়। একটি কারাগারে নিরাপত্তা কর্মীদের জিম্মি করে রাখে বন্দীরা। আরেকটি কারাগারে ঘটে হতাহতের ঘটনা। ইতালির কারা কর্তৃপক্ষের প্রধান কর্মকর্তা ফ্রান্সিসকো বাসেন্তিনি জানান, উত্তরাঞ্চলীয় শহর মোডেনায় দাঙ্গায় কারাগারের ভেতরেই মারা যায় তিনজন বন্দী। অন্য তিনজন মারা যায় বন্দীদের অন্যত্র স্থানান্তরের সময়। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে পদক্ষেপে পুরো দেশের কারাগারগুলোতে বিদ্রোহ শুরু করেছে বন্দীরা।’ বিচার মন্ত্রণালয় জানায়, অনেকগুলো কারাগারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের পর এতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে এই ভাইরাসের কবলে পড়ে মারা গেছে ৪৬৩ জন। সেখানকার ১৪টি প্রদেশের অন্তত এক কোটি ৬০ লাখ মানুষকে বাধ্যতাম‚লকভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে। আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত কেউ এই প্রদেশগুলো থেকে কাউকে বের হতে দেওয়া হবে না বা বাইরে থেকেও কেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। মিলানের স্যান ভিত্তোরি কারাগারের বন্দিরা একটি কারা বøকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা জানালা দিয়ে ছাদে উঠে ব্যানার দোলাতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এছাড়া উত্তরাঞ্চলীয় ইতালির বেশ কয়েকটি কারাগার এবং রাজধানী রোমের কারাগারেও দাঙ্গা হয়েছে। কোনও কোনও শহরে কারাগারের বাইরে বিক্ষোভ করেছে বন্দিদের স্বজনেরা। এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ‘হাতে আর সময় নেই।’ চীনের পর সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাস উপদ্রæত দেশ ইতালি। সোমবার দেশটিতে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩৬৬ থেকে বেড়ে ৪৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। সরকারি হিসাব বলছে, রবিবার থেকে নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যাও ২৪ শতাংশ বেড়েছে। এএফপি, বিবিসি, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।