Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পুরো ইতালি অবরুদ্ধ হয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২০, ৩:৩৪ পিএম

করোনাভাইরাসে জর্জরিত ইতালি। এই ভাইরাসে চীনের পর সবচেয়ে প্রাণহানি হওয়া ইতালি সারা দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। দেশটির নাগরিকদের ঘর থেকে বের না হতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশের ৬০ মিলিয়ন মানুষকে নিজ নিজ ঘরেই অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে ইতালি সরকার। নিজস্ব কোয়ারেন্টাইনে থেকে দেশবাসীর সকলকে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
একই উপায়ে চীনে এ মহামারী মোকাবিলায় বড় অগ্রগতির ইঙ্গিত দেওয়ায় মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দেশবাসীর ওপর নজিরবিহীন এ বিধিনিষেধ আরোপ করল ইতালি।
করোনা ঠেকাতে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে দেশব্যাপী সবাইকে বাড়িতেই থাকতে এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুরো ইতালি একটি সংরক্ষিত এলাকায় পরিণত হবে। ইতালির স্বার্থে আমাদের সবাইকেই কিছু না কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আর এটা এখনই করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সংক্রমণ ঠেকাতে এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দিতে আমি আরও বেশ দৃঢ় ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ইতালিতে করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য এর আগে রোববার (৮ ফেব্রæয়ারি) দেশটির লম্বার্ডি অঞ্চল, উত্তর ও পূর্ব অঞ্চলের ১৬ মিলিয়ন মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে নিজস্ব কোয়ারেন্টাইনে অর্থাৎ নিজ নিজ ঘরে থাকার জন্য আদেশ দেয় দেশটির সরকার। ওই সিদ্ধান্ত দেশটির মূল আর্থিক কেন্দ্র মিলান ও পর্যটনের জন্য বিখ্যাত ভেনিসেও কার্যকর।
ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হারও উদ্বেগজনক। এতে প্রাণ গেছে ৪৬৩ জনের এবং নয় হাজার, ১৭২ জন সংক্রামিত হয়েছেন। ইতালির প্রাণহানির হার দেশব্যাপী পাঁচ শতাংশ এবং লোম্বার্ডিতে এ হার ছয় শতাংশ। যা ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। অন্যান্য স্থানে করোনায় প্রাণহানির হার তিন-চার শতাংশ। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতালি সরকার আগেই জিম, পুল, জাদুঘর, স্কি রিসোর্ট ও সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।
করোনায় ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইতালি। দেশটির সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া সত্তে¡ও ইতালিতে ভাইরাসের সংক্রমণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে ইতালির রাজনৈতিক নেতা নিকোলা জিঙ্গারেতিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের আবার নিয়োগ দিচ্ছে ইতালি সরকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ