মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর সফরে গেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বাংলাদেশ সময় আজ ১০ মার্চ মঙ্গলবার সকালে তিনি সেখানে পৌঁছান। চীনা মিডিয়ার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
গত জানুয়ারিতে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের সামুদ্রিক খাবারের একটি বাজার থেকে কোভিড-১৯ নামের ভাইরাসটি প্রথম ছড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়। -খবর এএফপি
মঙ্গলবার ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। চীনে নতুন করে ১৭ জন মারা গেছেন বলে এএফপির খবরে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শতাধিক দেশে কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর জানা গেছে।
এই উহান শহর থেকেই দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এতে বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত অন্তত চার হাজার ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৪ হাজার ৪২২। মৃতদের মধ্যে তিন হাজার ১৩৬ জনই চীনের নাগরিক। আক্রান্তদেরও অধিকাংশই চাইনিজ।
চীনের পর এ ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে ৪৬৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ১৭২।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবার এই প্রথমবারের মতো সেখানে গেলেন শি জিনপিং।
আল জাজিরা-র খবরে বলা হয়েছে, চীনে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমে আসতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, সোমবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৯ জন। অর্থাৎ, আগের দিনের চেয়ে এদিন নতুন সংক্রমণ কমেছে ৪০টি। তবে এদিন আক্রান্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনই উহান শহরের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার সকালে শহরটিতে অঘোষিত সফর করেন শি জিনপিং। বার্তা সংস্থা শিনহুয়া বলছে, একটি উড়োজাহাজে করে উহানে আসেন তিনি। অঞ্চলটিতে মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কাজ পর্যবেক্ষণ করেন প্রেসিডেন্ট শি।
এসময় তিনি চিকিৎসাকর্মী, সামরিক কর্মকর্তা, কমিউনিটি কর্মী, পুলিশ, রোগী ও স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে খবরে জানা গেছে। চীনে মাও জেদংয়ের পরেই সবচেয়ে প্রভাবশালী এই নেতার দৈননিন্দ সফর রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ফলাও প্রচার করা হয়।
কিন্তু করোনাভাইরাস সংকট দেখা দেয়ার পর থেকে তিনি গণমাধ্যমের নজরের বাইরে চলে যান। মহামারী পর্যবেক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রী লে কেকিয়াংকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ঘরোয়াভাবেই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় তার সরকারের আত্মবিশ্বাসের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসতেই তিনি এই সফর করেন। এর আগে মহামারী আক্রান্ত উহান সফর করেন প্রধানমন্ত্রী লে কেকিয়াং ও একজন উপপ্রধানমন্ত্রী। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শি জিনপিংয়ের ভূমিকা তুলে ধরে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। গত মাসের এক ভাষণে তিনি ভাইরাস মোকাবেলায় দিক নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে তাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।