পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপ নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা এখন তুঙ্গে। কর্মী সমাবেশের নামে চলছে জোর প্রচার-প্রচারণা। প্রতিদিনই কর্মী সভা, সমাবেশ, গণসংযোগ চলছে সমানে। কেশবপুরের মানুষ দীর্ঘদিন পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। তাদের ভেতর স্বস্তির ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন রাজনীতি ছিল ঝিমিয়ে। উপরন্তু ক্ষমতাসীন দলে বহুধাবিভক্ত নেতৃত্ব্ ও ‘হাতুড়ী বাহিনীর’ জিম্মিদশায় হাবুডুবু খাওয়ার কারণে কেশবপুরের রাজনীতি চলতো ভিন্ন আঙ্গিকে, ছিল একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ। উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনসাধাণ যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন। নতুন এক আমেজ তৈরী হয়েছে কেশবপুরে। ক্ষমতাসীন দলের কথিত ‘বাহিনীর’ হাতে নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতা ও কর্মীও বাদ থাকেনি।
কেশবপুরের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দলের কান্ডারী হয়েছেন জেলা আ.লীগের বারবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে এমন কোনদিন নেই যেদিন কেশবপুরে জমজমাট কর্মী সভা ও সমাবেশ করছেন না। দৃশ্যত এখন পর্যন্ত বিবদমান তিন গ্রুপ এক প্লাটফর্মে এসেছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে কেশবপুরের রাজনীতিতে নিঃসন্দেহে স্বস্তি, শান্তি ও সুবাতাসের ইঙ্গিত।
উপ নির্বাচনে আ.লীগ. বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ৩ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। যদিও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কোন প্রচার প্রচারণা গণসংযোগ নেই। মনোনয়ন দাখিলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছেন তিনি। মূলত নির্বাচনী লড়াই হবে আ.লীগ ও বিএনপির মধ্যে। আ.লীগের মতো প্রচার প্রচারণা ব্যাপকভাবে চালানোর প্রস্ততি গ্রহণ করেছে বিএনপিও। আজ (রোববার) দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। যা নির্বাচনী শো-ডাউন হবে বলে দলীয় সূত্র জানায়।
যদিও বিএনপি’র প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ এলাকায় গণসংযোগ করছেন বেশ আগে থেকেই। ব্যাপক শো-ডাউন দিয়ে আসছেন বেশ কয়েকদিন ধরেই আ.লীগ প্রার্থী শাহীন চাকলাদার। কেশবপুরের দলীয় নেতা ও কর্মীরা কতটা কোণঠাসা ও বন্দী ছিল ব্যক্তিবিশেষের গ্রু প বলয়ে তার প্রমাণ মেলে শাহীন চাকলাদার মনোনয়ন পাওয়ার সেখানে দলীয় কার্যালয় দুধ দিয়ে ধুয়ে উল্লাস করেন নেতা ও কর্মীরা।
সংসদীয় যশোর-৬ আসন একসময় কেশবপুর ও অভয়নগর দু’টি উপজেলা নিয়ে ছিল। তখনো দুই উপজেলায় দু’টি বাহিনীর অস্তিত্ব ছিল ক্ষমতাসীন দলে। কেশবপুর সংসদীয় আসন এলাকা একেক সময় একেক রকম ছিল। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ’৬৯ এর নির্বাচনে এলাকা ছিল কেশবপুর ও অভয়নগর এলাকবা নিয়ে, ’৭৩এর নির্বাচনে কেশবপুর ও মণিরামপুর, আবার ’৭৯, ’৮৬, ’৮৮ ,’৯১, ’৯৬ ও ২০০১ এর নির্বাচনে কেশবপুর ছিল একক নির্বাচনী এলাকা। ২০০৮ কেশবপুর, অভয়নগর ও মণিরামপুরের ১টি ইউনিয়ন নিয়ে যশোর-৬ সংসদীয় আসন হয়। আবার ২০১৪ ও ২০১৮ ছিল একক।
এই ভাঙাগড়া সংসদীয় আসন এলাকার মানুষ বরাবরই অবহেলিত নানা কারণে। উন্নয়ন বঞ্চিতও। শুধুমাত্র সাবেক মন্ত্রী এস এইচ কে সাদেকের আমলে উন্নয়ন হয় একথা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন। তার সহধর্মীনি ইসমত আরা সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। বরং নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন। তার সময়ে কেশবপুরের আ.লীগ নেতা এইচ এম আমির হোসেন, উপজেলা সভাপতি এস এম রুহুল আমিন, সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফাসহ নেতৃবৃন্দ যশোর প্রেসক্লাবে এসে ইসমত আরা সাদেকের পৃষ্টপোষকতায় গড়ে উঠা কথিত হাতুড়ী বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হন। অভিযোগ, দীর্ঘদিন আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলেও কেশবপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা ও কর্মীরা ক্ষমতার স্বাদ পাননি। বর্তমানে উপ নির্বাচনেকে ঘিরে আ.লীগ ও বিএনপির রাজনীতি জমজমাট হয়েছে। কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মোট পৌণে ৩লাখ ভোটারের মন জয় করতে নিরল প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন উভয় প্রার্থী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।