পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা তদন্ত করছে পিবিআই। ওই তরুনীকে ধর্ষনের অভিযোগ এনে আমজাদ হোসাইন (৩৭) নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মধ্য জানুয়ারির ওই ঘটনার আসামি এখন হাই কোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৫ ডিসেম্বর হোটেল ওয়েস্টিনে এক অনুষ্ঠানে আমজাদের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে ফোনে ও বিভিন্ন অ্যাপে নিয়মিত বার্তা আদানপ্রদান শুরু হয়। এরপর ৩ জানুয়ারি বিকালে আমজাদ ওই তরুণীকে ওয়েস্টিনের ১৯১৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে ‘শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য জোর’ করেন। তবে ওই তরুণীর আপত্তিতে সেদিন তা পারেননি। পরে ১৬ জানুয়ারি রাত ১০টা ২০ মিনিটে তার ধানমন্ডির বাসার কাছে গিয়ে আমজাদ নিচে নামতে বলেন। তিনি প্রথমে রাজি না হলেও পরে আমজাদের পীড়াপীড়িতে নেমে আসেন। আমজাদ তখন তার গাড়িতে করে তাকে ওয়েস্টিন হোটেলে নিয়ে যান। রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে নিয়ে আমজাদ তার বন্ধু নাহিয়ানের নামে ভাড়া করা ১০১০ নম্বর কক্ষে যান। কক্ষে নেয়ার পর তাকে এক পর্যায়ে কুপ্রস্তাব দেয়া হয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায় এবং রাত পৌনে ১টার দিকে তরুণীকে ধর্ষণ করে। প্রতিবাদ করেও তার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, সেই রাতের পর আমজাদ বিয়ের বিষয়ে ওই তরুণীকে ঘোরাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।
পিবিআইয়ের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মামলাটি কয়েকদিন আগে আমাদের হাতে এসেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
রিপোর্ট পেলে ধর্ষণের আলামত আছে কি না বুঝা যাবে। এছাড়াও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, তদন্তের জন্য হোটেল থেকে বোকিং লিস্ট, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল রাতে আমজাদ হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয়ে আমি পরে কথা বলবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।