পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, ইসলামই একমাত্র শান্তির ধর্ম। ইসলামে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। কেউ কেউ বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ইসলামের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। মা খাদিজা (রা.) সর্ম্পকেও এরা বিষোদগার করতে দ্বিধা করে না। মুসলমানদের মধ্যে নানা ফেৎনা সৃষ্টি করছে তারা। এদের সর্ম্পকে সজাগ থাকতে হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আল্লাহকে পেতে হলে রাসূল (সা.)কে পেতে হবে। রাসূল (সা.)কে পেতে হলে হক্কানী আলেম ওলামাদের মহব্বত করতে হবে। শুক্রবার রাতে মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক ময়দানে বিশ্ববিখ্যাত কারামতি সম্পন্ন জৈনপুর পীর সাহেব কেবলার ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে ইছালে ছাওয়াব ও ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
জৈনপুর পীর সাহেব আল্লামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন। আরো বক্তব্য রাখেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা সাব্বির আহমদ মোমতাজী, ভারত থেকে আগত মুফতী আলাউদ্দিন ও মুফতী এজাহারুল হক।
ইসলামী সম্মেলনে এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের জমিন সুফি আধ্যাত্মিক ব্যক্তিদের জমিন। এই জমিনে ইসলাম বিরোধী শক্তির কোনো স্থান নেই। তিনি বলেন, অষ্ট্রেলিয়ার একজন বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মরণব্যাধী করোনাভাইরাস অব্যাহত থাকলে বিশ্বের ৭ কোটি লোক মারা যেতে পারে। এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে বাংলাদেশে একজনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। সারাদেশে চার লাখ মসজিদে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে দোয়া হচ্ছে। আল্লাহর খাস রহমতে এদেশটি নিরাপদ রয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামের উর্বর ভূমির দেশ বাংলাদেশের আলেম ওলামাদের সাথে সরকারের সর্ম্পক আরো সুদৃঢ. করতে হবে।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, র্যাবের ডিজি বলেছেন, প্রতিদিন আড়াইশ’ কোটি টাকার মাদক ব্যবহার হয়। এসব মাদকের সাথে জড়িতরা দেশ সমাজ ও রাষ্ট্রের দুশমন। তিনি বলেন, মাদরাসার ছাত্ররা সন্ত্রাস ও মাদকের সাথে জড়িত নন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাসূল (সা.) একজন এতিম ছিলেন। তিঁনি এতিমদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। এতিমদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলে কিয়ামতের দিন নেকীর পাল্লা ভারি হবে। তিনি আরো বলেন, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রেজামন্দি হাসিলের জন্য সত্যের পথে চলতে হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশটা শান্তি শৃঙ্খলায় চলুক তা’ তারা চায় না। বঙ্গবন্ধু সকল ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে অন্যায় অপরাধের পথ থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারে। ধর্মীয় জ্ঞানকে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ভেজালমুক্ত সঠিক ধর্মীয় জ্ঞার্নাজন করতে পারলেই কামিয়াবী হওয়া যাবে। হক্কানী আলেম ওলামায়ে কেরামদের সাথে সুসর্ম্পক বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাসূল (সা.) যে সব কাজ করতে নিষেধ করেছেন তা’ থেকে বিরত থাকতে হবে। সত্যিকারে মুক্তাকি মু’মিন হতে হবে। দুনিয়ার জমিনে আল্লাহর প্রভুত্ব বিস্তার করতে হবে। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, কওমী ও আলিয়ার আলেম ওলামারা ইসলামের খেদমতে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে বিরাট ভূমিকরা রাখছেন। তিনি আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর সঠিক পথকে আঁকড়ে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আলেম ওলামাদের ঐক্যবদ্ধভাবে একটি প্লাটফর্মে আসতে হবে। তা’হলেই পথ ভ্রষ্টদের এদেশে স্থান হবে না।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর মুক্তির জন্য মহান আল্লাহপাকের সাহায্য কামনা করে বলেন, বর্তমানে সাময়িকভাবে ওমরাহ পালন বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, আসুন সকলে মিলে দোয়া করি আসন্ন মূল হজে যাতে আল্লাহর রহমতে মুসলিম উম্মাহ সুন্দর ভাবে পবিত্র হজ পালন করতে পারেন।
পরে জৈনপুর পীর সাহেব দ্বীন প্রচারে সক্রিয় মাদরাসাগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাাহর সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।