Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘পুলিশের হুইসেলে দৌড় দিলেই গণআন্দোলন হবে না’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

পুলিশের হুইসেল শুনে দৌড় দিলেই গণআন্দোলন সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, আজকে কাউকে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী করার জন্য একটা শক্তি বিএনপিকে ধবংস করার ষড়যন্ত্র করছে। এই শক্তিটি বড় শক্তি। এই শক্তিকে ধ্বংস করতে হলে শুধুমাত্র গণ-অভ্যুত্থানে মাধ্যমেই ধবংস করা যাবে। সোহেল (হাবিব উন নবী খান সোহেল) বলে গেছেন, পুলিশের হুইসেল বাজলে দৌড় দিলে গণআন্দোলন হবে না। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপির আন্দোলনের মূল শক্তি ছাত্র দল। আমাদের অঙ্গসংগঠনগুলো তারা যদি রাজপথে প্রকম্পিত করতে না পারে তাহলে আমার মতো ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বা সেলিমা রহমানের মতো ৭০/৬৯ বছর বুড়াদের দিয়ে আন্দোলনে মানুষ আসবে না, আন্দোলনে মানুষ আসে যেখানে তারুণ্য থাকে।

অতীতের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে টুকু বলেন, আজকে ব্যক্তি সর্বস্ব দলের অবস্থা হয়েছে। ব্যক্তির নাম বলতে হবে তাহলে হাতের তালি পড়বে। এই দিয়ে আন্দোলন হয় না। উনোসত্তরের আন্দোলনের দিন আগুনটা জ্বলে ছিলো আসাদের রক্ত দিয়ে, আসাদ জীবন দিয়েছে। আসাদের লাল শার্ট ছিলো সেই আন্দোলনের মূলমন্ত্র। যে আন্দোলন মাওলানা ভাসানী এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব মুক্তি পেয়েছিলো।
তিনি বলেন, আন্দোলন করতে হলে আগে নিজেদেরকে তৈরি হতে হবে। এখন যে অবস্থায় চলে গেছে এখন যদি বুকের রক্ত না দেয়া যায় তাহলে আন্দোলন জমবে না, জনগন এগিয়ে আসবে না। সেটা করতে পারে একমাত্র ছাত্ররা। আমরাও সেটা করেছি। তোমাদের বলতে চাই, নিজের এলাকায় এলাকায় গিয়ে দূর্গ গড়ে তোলো। তখন দেখবা আন্দোলন শুরু হয়ে গেলে এমনিতেই নাম এসে যাবে হাতের তালি দিতে হবে না।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আমরা এক ঘোর অন্ধকারে মধ্যে বাস করছি। আমাদের গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে অবৈধভাবে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসা পর্যন্ত ওরা (সরকার) করতে দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়, তারা আমাদের তারণ্যে প্রতীক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশ আসতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, এই সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায়। তারা জানে যে, তারেক রহমান দেশে আসলে আরেকজন জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটবে। তাই তাকে দেশে আসতে দিচ্ছে না এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এই সরকারকে হটানো জন্য তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।

আলোচনা সভা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিশেষ সম্পাদক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিলুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ