ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের (৪৯ ব্যাচ) ক্লাস শুরু হবে আগামী ১০ই মার্চ মঙ্গলবার। ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদেরকে এই মুহূর্তে হলে সীট বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হবে না। তবে তাদেরকে বিভিন্ন হলে সংযুক্ত করা হবে। পরবর্তীতে হলে আসন শূন্য হওয়া সাপেক্ষে স্ব স্ব হল প্রভোস্ট পর্যায়ক্রমে তাদের সীট বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে নবীন ব্যাচের আগমন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র্যাগিং বিরোধী সচেতনতামূলক বিভিন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। আগামী সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে ভাস্কর্যের সামনে হতে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের নেতৃত্বে একটি র্যাগিং বিরোধী র্যালী বের করবে প্রশাসন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহনে র্যালীটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।
এছাড়াও প্রশাসন একটি র্যাগিং বিরোধী বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে র্যাগিংকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সকল প্রকার র্যাগিং প্রতিরোধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিজ্ঞপ্তিতে কিছু কার্যক্রমকে র্যাগিং হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন: মানসিক, শারীরিক যৌন হয়রানি; অসৌজন্যমূলক আচরণ; ভীতি প্রদর্শন; খারাপ ইঙ্গিত ও কর্মে বাধা প্রদান; অমানবিক, অমর্যাদাকর সম্বোধন আচরণ; আর্থিক প্রলোভন, আর্থিক প্রতারণা এবং বল প্রয়োগ, শক্তিমত্তার ইঙ্গিত প্রদর্শন ইত্যাদিকে শাস্তিযোগ্য র্যাগিং হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
র্যাগিং এর শাস্তি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার, আবাসিক হল থেকে বহিস্কার, ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা, স্কলারশিপ বাতিল, ভর্তি বাতিল, অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা এবং প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী অপরাধীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট সোর্পদ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।