গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
![img_img-1719928388](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678211639_df.jpg)
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নারীর প্রতি সহিংসতা আমাদের দেশে নতুন কোন বিষয় নয়। এর মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগও চলমান আছে। এরপরও দেশব্যাপী শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের নারী যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
দেশের প্রতিটি নারী ও শিশু সহিংসতার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শুধু পুলিশ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৫৪০০টি। তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ধর্ষণের হার ৩.৮০, অথ্যাৎ প্রতি ১ লাখ নারীর মধ্যে প্রায় ৪জন নারীশিশুকেই ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে, যা স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী।
এরকম পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা ডরপ এর জেন্ডার ওয়াচ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) ডরপ এর জেন্ডার ওয়াচ কমিটি পক্ষ থেকে সভপতি রুবিনা ইসলাম ও সহ-সভাপতি সামছুন নাহার বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশ পুলিশ হেড়কোয়ার্টার্স ওয়েবসাইট সুত্রে জানাগেছে, শুধু পরিসংখ্যান বিবেচনায় ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ধর্ষণের এই হার বাড়ার পরিমাণ প্রায় প্রতি লাখে ১ দশমিক ৩৫ জন বা এক-তৃতীয়াংশ। আর ২০১৯ সালে প্রথম ছয় মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১০ হাজার ১৫৯টি যা আগের হারের প্রায় দ্বিগুণ। পুলিশ স্টাফ কলেজের (২০১৮) গবেষণা অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের ৭০ দশমিক ৯ শতাংশের মাসিক কোন আয় নেই এবং ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ নারী ও শিশুর মাসিক আয় ১০ হাজার টাকারও নিচে। এদের গড় মাসিক আয় মাত্র ২ হাজার ৮৪১ টাকা। যার কারণে এসব নারী ও শিশুর মামলা, বিচারিক প্রক্রিয়ায় সমান অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে না, ন্যায়বিচারও তাঁরা পান না।
বিবৃতিতে তারা আরো জানান, আয়যোগ্য এবং গৃহস্থালী কাজের মূল্যায়ন না হওয়ায় সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীদের অংশগ্রহনের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। জনসংখ্যার অর্ধেক নারী এবং তাদের মধ্যে আগামী প্রজন্মে অধিকার সমুন্বত রাখতে ধর্ষন-নির্যাতনেরমত কুৎসিত বিষয়কে যেভাবেই হোক সমাজ থেকে দূর করতে হবে। করতে হবে সমতার দৃঢ় অঙ্গীকার। আইনের সুষ্ঠু ও দ্রুততর প্রয়োগ এবং সমাজের বিবেকবান ও সম্মানিত ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হবে। আসছে নারী দিবসে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনের পক্ষে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।