বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুখোশ পরে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনিকে স্বাগত জানায় বগুড়ার পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী এর কোনো প্রতিবাদ করেন নি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং শিক্ষামন্ত্রীকে ভৎর্সনা করেন। এবার শিক্ষা ভবনের টিস্যু বক্সে লাগানো হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এ নিয়ে শিক্ষা ভবনে চলছে তোলপাড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও চলছে নিন্দার ঝড়।
বিষয়টি অবগত হওয়ার পর এ ব্যাপারে নিজের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন শিক্ষাউপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি ফেইসবুক একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে শিক্ষাউপমন্ত্রী লিখেছেন, ‘মুজিববর্ষের লোগো অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে যত্রতত্রভাবে প্রিন্ট করার একটি ঘটনা যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে হয়েছে, তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এই প্রিন্টের বক্সগুলো বাজেয়াপ্ত করেছি এবং এর পিছনে কে সেটি জানাতে বলেছি। পরিকল্পিত ভাবে এই কাজ করা হয়ে থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের সমাজ, প্রশাসন, রাজনীতিক পরিমন্ডলের সবখানেই অবিবেচক আর অতিউৎসাহীর কোনো কমতি নাই। পাশাপাশি অপরাজনৈতিক শক্তির দোসররা তো আছেই! এরা চাইবে যে কোনো ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, বিতর্ক সৃষ্টি করতে। এই চ্যালেঞ্জটি আমাদের আছেই। এই বিশাল প্রশাসনের কোথায় কে কোন বিতর্ক ঘটিয়ে ফেলেছে তা আগে থেকে নিয়ন্ত্রণ কঠিন। তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আর ব্যবস্থা নিয়েই আমাদের এগোতে হবে। সকলের অবগতির জন্য আমরা জানাচ্ছি "মুজিববর্ষের" আনুষ্ঠানিকতা কার্যক্রম, ইত্যাদির দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য একটি জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আছে। এর প্রধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই কমিটি কর্তৃক নির্দেশিত কাজের বাইরে কিছু করতে চাইলে আমাদের প্রানপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন দুস্থ, গৃহহীন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কল্যানমূলক কিছু করতে, যেমন তাদের জন্য গৃহনির্মান। এতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় তার সাধারণ মানুষের জন্য যেই সমান অধিকারের দেশ তিনি রেখে যেতে চেয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের পথে আমরা অনেক দুর এগুতে পারবো। সুতরাং অতিউৎসাহীরা সাবধান!’
হানিফ খান সজিবের প্রশ্ন, ‘বঙ্গবন্ধুর মুখোশ স্কুল ছাত্রীদের মুখে...... আজ দেখতে হলো টিস্যু বক্সে বঙ্গবন্ধুর ছবি.... কোথায় নামিয়ে দেয়া হচ্ছে জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধুকে?’
‘দুঃখজনক। স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতিকে এভাবে দেখতে চাইনা। এবার থামুন, অনেক হয়েছে।’ - রেজওয়ানুল ইসলাম সঞ্চয়ের আহ্বান।
সত্যজিত বড়ুয়া লিখেন, ‘শুধুমাত্র নজরদারির অভাবেই এই মহান মানুষটার জন্মশতবর্ষকে তামাসা বানাইছে কিছু মানুষ।’
‘ইদানিং আমিও বিষয়টা লক্ষ করলাম ভালো, মন্দ কাজে সব জায়গায় “মুজিব বর্ষের লোগো যত্রতত্র ব্যবহার “এমনটা হওয়া উচিত বলে মনে করি না । এর একটা নীতিমালা থাকা উচিত। বাংলাদেশের অতিউৎসাহী লোকের অভাব নাই এবং এদের দ্বারা মুজিব বর্ষ নিয়ে যেন কোন বিতর্ক না হয়। কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজরদারি আশা করছি।’ - হেলাল উদ্দিন প্রধানের প্রত্যাশা।
তন্ময় চক্রবর্তী লিখেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করে যে নোংরা রাজনীতি চলছে, সেইটা খুব দ্রুতই বন্ধ হওয়া উচিত, নিজের স্বার্থকে চরিতার্থ করবার জন্য বঙ্গবন্ধুকে আমরা একটা ব্র্যান্ড বানাই ফেলছি, অনেক হইছে। আর নাহ্, ওনার নাম ব্যবহার করে এই অপরাজনীতি এইবার বন্ধ করতে হবে, নয়তো মানুষটাকে সত্যিই অসম্মান করা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।