পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজেদের স্বার্থেই বন্যপ্রাণি রক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। দেশে বন্যপ্রাণি না থাকলে, বন ধ্বংস হয়ে যাবে। আর বন ধ্বংস হলে আমাদের বেঁচে থাকা অসম্ভব হবে। পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য প্রাণীক‚ল বাঁচাই প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস-২০২০ পালিত হয়েছে। এ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বন আমাদের অতিপ্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও অন্যান্য উপাদান সরবরাহ করে। তাই আমাদের বাঁচার স্বার্থেই বন্যপ্রাণির অসংখ্য প্রজাতিকে সবাই মিলে রক্ষা করতে হবে। প্রায় ১ হাজার ১ শত ৬৩ প্রজাতির বৈচিত্র্যময় প্রাণীর আবাসভ‚মি আমাদের বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণির আবাসস্থল বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন-সুন্দরবন, চিরহরিৎ বৃক্ষের বন, পত্রঝরা বৃক্ষের বন, শাল বন ও গ্রামীণ বন। সরকার দেশের এ সকল বন ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ সে কারণেই করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী বন্যপ্রাণি বাঁচাতে বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এ ইউনিট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণি, বন্যপ্রাণির দেহাংশ উদ্ধার, গোয়েন্দা নেটওয়ার্কিংসহ বন্যপ্রাণি রক্ষায় কাজ করছে। এ ইউনিট এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৬ শত ২টি বন্যপ্রাণি উদ্ধার ও প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করেছে। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের শেখ কামাল ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টার এ বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনাকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে ৪৫টি এলাকাকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯টি জাতীয় উদ্যান, ২০টি অভয়ারণ্য, তিনটি ইকোপার্ক, দুইটি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ও একটি মেরিন প্রটেক্টেড এলাকা।
মন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণির বংশবিস্তার ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে কক্সবাজার ও গাজীপুরে দুইটি সাফারি পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার লাঠিটিলায় একটি নতুন সাফারি পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।