বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুখোশ পরে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনিকে স্বাগত জানালেন বগুড়ার পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীরা। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রীকে বরণ করতে এমন সাজ করেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে দেশব্যাপী তৈরি হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
সোমবার (২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনিকে ভৎর্সনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ফেইসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। নেটিজেনরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের এমন কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা হয়েছে।
খবরটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিক ও লেখক সুমন্ত আসলাম লিখেন, ‘শাহরুখ খান ধরা যাক কোনো এক স্কুলে এলেন। সেই স্কুলের সব ছাত্র-ছাত্রী খান সাহেবের মুখোশ পরে রিসিভ করলেন তাকে। এর মানে হচ্ছে---আমরা প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী একেকজন শাহরুখ খান, সেই শাহরুখ সেজে স্বাগত জানাচ্ছি আপনাকে। বগুড়া পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গতকাল সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির মুখোশ পরে শিক্ষার্থীরা স্বাগত জানায় মন্ত্রীকে। এর মানে কী দাঁড়াল---একেকজন ছাত্র-ছাত্রী বঙ্গবন্ধু এবং সেই বঙ্গবন্ধু সেজে স্বাগত জানাচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীকে! এর শেষপর্যন্ত মানে হচ্ছে---বঙ্গবন্ধু স্বাগত জানাচ্ছেন দীপু মনিকে! আমার বোঝার কিংবা মানে জানার ভুল হতে পারে। সত্যি কি ভুল? যাই হোক, সর্বপ্রথম আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি হে জাতির পিতা।’
‘এই তাহলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি উনাদের প্রেম। জাতির পিতাকে বুঝতে হবে। তিনি হাজার বছরে শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তাকে যেভাবে সেভাবে সম্মান দেয়া যায় না। বরং ওনারা যেটা করেছেন, সেটা অপমান।’ - মাহমুদ এইচ খানের মন্তব্য।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবিনা ইয়াসমিন লিখেন, ‘আর এই দেখা বাকী ছিলো… শিক্ষা মন্ত্রীর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠান। বুকের ভিতরটা কেমন খা খা করে উঠল। বুদ্ধি হওয়ার পর যখন থেকে বঙ্গবন্ধুকে জানি এই বিশাল মাপের মানুষটারে বুকে লালন করছি চরম শ্রদ্ধার সাথে। সেই মানুষটাকে যখন এভাবে দেখি নিজেকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা খুঁজে পাইনা!’
‘ভালোবাসার টানে নীচে নামিয়ে আনে। এ হেন অবস্থা। অতি বাড়াবাড়ি, অতি ভক্তি কখনো সুখকর নয়। কয় দিন পর কী করেন সেটাই দেখার বিষয়।’ - উদ্বেগ জানিয়ে লিখেন আবুল হোসাইন আসাদ।
বিম্ময় প্রকাশ করে রাসেল হাসান রাকিব লিখেন, ‘ভালোবাসার অদ্ভুত বহিঃপ্রকাশ!’
‘অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ। বঙ্গবন্ধুকে এভাবে উনারা অসম্মান করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। ’ - আশরাফ আরজুর মন্তব্য।
সোয়েব আহমেদ লিখেন, ‘এর আগে যিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ, তিনি জাতীয় পতাকা খচিত কেক কাটতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ছিলেন। আর আমাদের এখনকার শিক্ষামন্ত্রী এটা কি করলেন ?’
শহিদুল ইসলাম লিখেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানে এমন (বঙ্গবন্ধুকে অসস্মান) কিছু হবে, সেটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।