পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি অর্থায়নে ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ৩০ মে পর্যন্ত ভোগ্যপণ্য আমদানির বিপরীতে যত ঋণপত্র খোলা হবে তার সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত অন্য সব খাতের ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ মুনাফা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে, ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি অর্থায়নসহ সকল ধরনের ঋণের (বিদ্যমান ও নতুন করে প্রদেয়) সুদহার হবে ৯ শতাংশ। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আসন্ন রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা এখন থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি শুরু করেছেন। ফলে আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও এসব পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি অর্থায়নের সুদহার অবিলম্বে হ্রাস করা প্রয়োজন।
এ প্রেক্ষিতে গতকাল থেকে কার্যকর করে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য হিসেবে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, খেজুর, ফলমূল এবং চিনি আমদানি অর্থায়নের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। তাছাড়া, উল্লিখিত পণ্যসমূহের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্যও পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। যা ৩০ মে ২০২০ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।