বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ওপর দুই আসামীকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত। সোমবার (০২ মার্চ) দুপুর ১২টায় টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত স্বামীর নাম আশরাফুল ইসলাম (২৭)। তিনি দেলদুয়ার উপজেলার গড়াসিন গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
খালাস প্রাপ্তরা হলো- দন্ডিত আসামীর মাতা আছিয়া বেগম (৬০) ও প্রতিবেশী চাচতো ভাই ইয়াকুব আলী।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাছিমুল আক্তার জানান, ২০১২ সালের ১৮ আগস্ট ৫লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আশরাফুল তার স্ত্রী সালেহাকে (২৪) গভীর রাতে তার বসত ঘরের শয়ন কক্ষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে এ হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় স্ত্রীর মৃতদেহ সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় শাড়ি দিয়ে পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। নিহতের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস ছামাদ ২০১২ সালের ১৮ আগস্ট ঘটনার দিনই দেলদুয়ার থানায় স্বামী আশরাফুল ইসলাম (২৭), শাশুড়ি আছিয়া বেগম (৬০), প্রতিবেশী চাচাতো ভাই ইয়াকুব আলী এ তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসমান গণি ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আশরাফুলকে আসামী রেখে বাকি দু’জনকে অব্যাহিত প্রদান করে। পরে মামলার বাদি নিহতের পিতা মো. আব্দুস সামাদ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারাজি প্রদান করলে অব্যাহতি প্রাপ্ত দুই আসামী আছিয়া বেগম ও ইয়াকুব আলীকে আদালত আসামী শ্রেণিভুক্ত করে।
এই মামলায় বাদীসহ সর্বমোট ১৩জন স্বাক্ষী আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সহায়তা করেন এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। আসামী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট গোলাম মোস্তফা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।