Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রুশ-তুরস্ক উত্তেজনা চরমে, এরদোগান-পুতিনের ফোনালাপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২০, ৪:২৬ পিএম

সিরিয়ার ইদলিবে আসাদ বাহিনীর বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার তুরস্কের ৩৪ সেনা নিহত হয়। জবাবে তুরস্কের হামলায় গত দুদিনে ৪৭ সিরীয় সেনা নিহতের কথা জানিয়েছে দি সিরিয়ান অবজারবেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। হামলার জন্য রাশিয়াকে ইঙ্গিত করে আঙ্কারা সীমান্ত খুলে দিলে ইউরোপে অভিবাসীর ঢল নামে। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
এরই মধ্যে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র রুশ মদদে বিদ্রোহীদের ওপর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বাহিনীর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এরদোয়ানকে ফোন করে হামলার জন্য নিন্দা জানান। হোয়াইট হাউসের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সিরিয়ায় যখনই ন্যাটো বাহিনী সফল হতে চলে, রাশিয়া পরিকল্পিকভাবে সব ভেস্তে দেয়। আসাদকে রক্ষায় তারা সমস্ত হামলার দায় এড়াতে পারে না।’
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, শক্তিধর রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সিরিয়ায় দীর্ঘ আট বছর গৃহযুদ্ধ চলে আসছে। জাতিসংঘের তথ্যে, সংঘাতে শিশুসহ বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই শিশু।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর ‘গুরুতর পরিস্থিতি’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ক্রেমলিন। এরদোয়ানকে ফোনে পুতিন যেকোনো পরিস্থিতিতে আলোচনার দরজা উন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন। উভয় নেতা ইদলিবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে প্রয়োজনীয় সব করতে সম্মত হয়েছেন। উত্তেজনার মধ্যেই আগামী সপ্তাহে এরদোয়ান মস্কো সফর করবেন। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘সেনা নিহতের পর আলোচনার জন্য ৫ মার্চ মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বসছেন এরদোয়ান। এতে ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষনেতা থাকতে পারেন।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপের মাধ্যমে রাশিয়াকে চাপে রাখতে তুরস্ক সীমান্ত উন্মুক্ত করার হুমকি দিয়েছে। ফলে অভিবাসী নিয়ে বিশ্বকে নতুন সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। গতকাল শনিবার এরদোয়ান বলেন, সেনা হত্যার জন্য দামেস্ককে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে। আমাদের পক্ষে আর শরণার্থী রাখা সম্ভব নয়। পুতিনকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘ইদলিবে আপনার (পুতিন) কী কাজ? সিরিয়ার সঙ্গে সমস্যা আমাদের। লড়াইটা আমাদেরই করতে দিন। আপনি ঘাঁটি গাড়তে চাইলে করেন। কিন্তু আমাদের পথ আটকে দাঁড়াবেন না। এর ফল ভালো হবে না।’



 

Show all comments
  • Monjur Rashed ১ মার্চ, ২০২০, ৫:৩৩ পিএম says : 0
    President Erdowan is really in dilemma. Maintaining simultaneous relationship with USA & Russia is a critical job. However, the intention of Russia is more transparent rather than USA & Israel because both the countries want to continue an endless war in Syria.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক-রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ