পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইনি লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব হচ্ছে জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, তাঁকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নাই। এই আন্দোলন শুধু মুখে বললে চলবে না, এটা কার্যকর করতে হবে। এমন কর্মসূচি দিতে হবে যে কর্মসূচি আমরা দৃঢ়ভাবে পালন করতে পারবো। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন দ্বিতীয় দফায় খারিজ হওয়ার পরদিন গতকাল শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
দলের যুব-ছাত্র সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে মওদুদ আহমেদ বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ- ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলকে যদি আমরা সংগঠিত করতে না পারি, তারা যদি আন্দোলন করতে না পারে তাহলে আন্দোলন হবে না। আন্দোলন করতে হলে আমাদের ছাত্র দল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলকে আরো শক্তিশালী করতে হবে, আরো সংগঠিত করতে হবে এবং তাদেরকে ময়দানে নামতে হবে।
সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং রাজনৈতিক কারণেই তার জামিন হয় নাই। এটা সকলে কিন্তু এটা বুঝে। আইনের মধ্যেই আছে মহিলা যদি হয়, তিনি যদি অসুস্থ থাকেন, তিনি যদি বয়স্ক হন তাহলে তাকে জামিন দিতে হবে। ৪৯৭ আইনে আছে। আইন কে তোয়াক্কা করে? মানবিক কারণেও তাকে মুক্তি দিতেও তারা রাজি নয়। তিনি গুরুতরভাবে অসুস্থ এবং দুই বছরে তার শরীরে আর কিছু বাকী নাই।
মওদুদ আহমেদ বলেন, আমি আদালতে সবার সামনে বলেছি, মোহাম্মদ আলী বলে আমাদের একজন আইনজীবী ছিলেন সুপ্রিম কোর্টে, খুব ভালো মানুষ, ভদ্র মানুষ ছিলেন। তার বিরুদ্ধে খামাখা একটা মামলায় জড়িয়ে, আমাদের অনেককে জড়িয়ে যে মামলা দিয়েছিলো সেখানে তিনি যখন জামিনের জন্য গেছেন তখন কোর্ট জামিন নাকচ করে দিয়েছে। তারপরে তিনি হার্টফেল করে মারা গেছেন। আমাদের শ্রমিক দলের নেতা বাকেরের জন্য আমরা গেলাম, হাইকোর্ট জামিন দিলো কিন্তু আপিলেট ডিভিশন তা বন্ধ করে দিলো। পরে জেলখানায় তার মৃত্যু ঘটলো। আদালতকে আমি এটা স্মরণ করিয়ে দিলাম যে, কে ঝুঁকি নেবে? বেগম খালেদা জিয়ার এই যে স্বাস্থ্য কারণে সরকারের যে অবহেলা এবং তাদের যে মনোভাব। যদি কোনো অঘটন ঘটে এর বিচার করবে কে, এর দায়িত্বে কে নেবে? আমি বলতে চাই, সরকারকেই এই দায়িত্বটা নিতে হবে। কিন্তু তারা এগুলো চিন্তা করে না, এগুলো ভাবেও না। তাদের মন মতো করে দেশ চালাবেন-এটাই তাদের ইচ্ছা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের সভাপতি এম গিয়াসউদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফউদ্দিন বকুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।