মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের দিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের পক্ষে ও বিপক্ষে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির মুসলমানদের ওপর ব্যাপক নিপীড়নের খবর বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমও এ ধরনের সহিংসতা ও নিপীড়নের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে বিশেষ মানবিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক সহিংস জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে দিতে হাজারখানেক যুবক ঘুমন্ত মুসলিমদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। ৬৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ তাহির খাজুরি খাসের চার নম্বর গলির মুখটায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন। পাশে দাঁড়ানো তার দুই পুত্রবধ‚ও কাঁদছিলেন। গলির মুখ থেকে তাদের বাড়িটা ছিল খান চার-পাঁচেক বাড়ির পরেই। পুরো বাড়িটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে তারা ঢুকেছিল তাহিরদের গলিতে। তাদের হাতে ছিল বন্দুক, ধারালো অস্ত্রশস্ত্র। গলিতে ঢুকেই তারা সেখানকার বাসিন্দাদের মারধর করে লুটপাট শুরু করে। এরপর একটা একটা করে বাড়িতে আগুন লাগাতে থাকে তারা। লোকজন যে বাড়িগুলির ভিতরে রয়েছেন, তার পরোয়াই করেনি কেউ। বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে দেখে প্রাণে বাঁচাতে বাড়ির ছাদ টপকে টপকে তাহিররা পৌঁছে যান গলির শেষ প্রান্তে। পালিয়ে প্রাণে বাঁচতে পেরেছিলেন তাহিররা।
খাজুরি খাসের চার নম্বর গলির হিন্দু বাসিন্দারা ওই সময় তাদের মুসলিম পড়শিদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। মুসলিমদের ঘরবাড়িগুলি যখন পুড়ছে, তখন তারা নিজেদের বাড়ি থেকে বালতির পর বালতি পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি, জানালেন চার নম্বর গলির এক হিন্দু বাসিন্দা। যিনি কিছুতেই তার নাম জানাতে চাইলেন না। ভয়ে, যদি এরপর তার ওপরেও চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। শুধু খাজুরি খাস নয়। মৌজপুর বাবরপুর, ভাগীরথী বিহার, সর্বত্রই এ তান্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতীকারীরা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।