পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা ও সোনাদানা রক্ষা করতে সেগুলো নিয়ে পুরান ঢাকার ওয়ারীর মমতাজ ভিলায় জমিয়ে রাখতেন ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়া। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের মুখে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল তাদের। সিআইডি ও র্যাব সূতে এ সব তথ্য জানা গেছে। গত মঙ্গলবার দুই ভাইয়ের মালিকানাধীন ‘মমতাজ ভিলা’ র্যাব অভিযান চালিয়ে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা ও এক কেজি স্বর্ণ জব্দ করে। এর আগে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে ৫ কোটি টাকা ও আট কেজি স্বর্ণ জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর ৫মাস পর এনু-রুপনের মমতাজ ভিলায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ২৭কোটি টাকার পাশাপাশি ওই বাসা থেকে ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে।
র্যাবের গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এনু-রুপন দুই ভাই প্রথম অভিযানের পর এবং সিআইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগপর্যন্ত ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ১১৯/১ এর এই বাসাটিতে মাঝেমধ্যে যাতায়াত করতেন। কখনওবা এই বাসাতেই রাত্রিযাপন করতেন। এনু-রুপন গ্রেফতারের আগে ওয়ারীর ১১৯/১ নম্বর বাসাটির সন্ধান জানত না কেউ। গত সেপ্টেম্বরে অন্তত ২৬ বাড়ির তথ্য শোনা গেলেও ১৫টি বাড়ির সন্ধান পেয়েছিল র্যাব। ওইসব বাসায় অভিযান চালানোর পর কয়েকটি বাড়িতে টাকা, স্বর্ণ ও বিদেশি মুদ্রা মেলে। এনু-রুপন সিআইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর আরও কিছু তথ্য পায় র্যাবের গোয়েন্দারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই পাঁচমাস পর আবার অভিযান চালানো হয়।
র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, এনু-রুপনের প্রত্যেকটি বাসাতেই মমতাজ ভিলা লেখা রয়েছে। ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের আশেপাশে অন্তত ১২টি বাড়িতে মমতাজ ভিলা লেখা রয়েছে। সবগুলোই এনু-রুপনের কিনা তা নিশ্চিত হতে সময় লাগছে। যার ফলে অভিযান চালাতেও দেরি হচ্ছে। একই রোডে আরেক বাসায় এর আগেও অভিযান চালানো হয়েছিল। তার পাশে আরেকটি ১০তলা মমতাজ ভিলা রয়েছে। এনু-রুপনকে কেরানীগঞ্জ থেকে সিআইডি গ্রেফতারের পর জানিয়েছিল, গ্রেফতারের সময় এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার কাছ থেকে ২২টি জমির দলিল, পাঁচটি গাড়ির কাগজপত্র ও ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকা থাকার প্রমাণ পাওয়া পেয়েছে। এ ছাড়া নগদ ৪০ লাখ টাকা ও ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়। অন্তত ২৬ টি বাড়ির তথ্য জানতে পারে সিআইডি।
গত মঙ্গলবার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ১১৯/১ এর বাসাটিতে তালা ভেঙে প্রবেশ করা হয়। ছয় তলা ভবনটিতে কোনো লোকের বাস ছিল না। ওপরের তলাগুলোতে কোনো কিছু পাওয়া না গেলেও নিচ তলায় এসে দুইটি ট্রাঙ্ক, পাঁচটি লোহার সিন্দুক (ভল্ট), ১৫টি বস্তা ও একটি টিভি টেবিল পাওয়া যায়। সেখানে ক্যাসিনো সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। এরপর একটি ট্রাঙ্ক ফাঁকা পাওয়া যায়। আরেকটি ট্রাঙ্ক টাকায় ভর্তি ছিল। বস্তাগুলোতেও ছিল শুধু টাকা আর টাকা। সিন্দুকগুলো খুললে টাকা আর স্বর্ণালঙ্কার বেরিয়ে আসে। একটি সিন্দুকের মধ্যে বিদেশি মুদ্রাগুলো ছিল। সব টাকাই ছিল এক হাজার নোটের বান্ডিল।
একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, এসব টাকা কোথাও সরাতে না পেরে তড়িঘড়ি করে বস্তার মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল এনু-রুপন। এ রকম আরও কোনো বাড়িতে টাকা রয়েছে কি না তার খোঁজ করছে র্যাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।