বিকেলে পর্দা উঠছে বইমেলার
পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ- প্রতিপাদ্যে অমর একুশে বইমেলার পর্দা উঠছে আজ বুধবার (১
বাংলা একাডেমীর বইমেলা চত্বরে কোন কোন স্টলে আল্লাহ, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইসলামী সংস্কৃতি, মুসলমান এবং আলেম ওলামাদের সম্পর্কে জঘন্য-অশ্রাব্য ভাষায় লিখা বই বিক্রি হয়েছে। লিটলম্যগ চত্বরের নামসর্বস্ব কালাঞ্জলী স্টল থেকে “নানীর বাণী” নামের যে বই টি বিক্রি হচ্ছিল তাতে আল্লাহ রসূল ও ইসলামী সংস্কৃতি ও আলেম ওলামা সম্পর্কে যেসব অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা স্মরণ কালের ইসলাাম বিরোধী কোন বইয়েই এমন ভাষা ব্যবহার করা হয় নি। ইসকনের ষ্টল থেকে ”যেমন কর্ম তেমন ফল” নামের যে বইটি বিক্রী হচ্ছে তার ভেতরে গরু জবাইয়ের বিরুদ্ধে উস্কানী দেওয়া হয়েছে।
অসাম্প্রদায়িকের ধুয়া তুলে বাংলা একাডেমী ইসলামী বই এর কোন স্টল বরাদ্দ দেয় নি। যদিও বই বিক্রেতা ওয়েবসাইট ‘রকমারি.কম’ এর বেস্টসেলারের তালিকার উপরের দিকে সব প্রকাশনা সংস্থাই ইসলামী বইয়ের। অথচ ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন প্রকাশনী সহ ইসকনকে বই এর স্টল করতে দেওয়া হয়েছে। কালাঞ্জলী ষ্টলের দিয়ার্ষী আরাগ ওরফে কুমার দিপুর লিখাা নানীর বাণী বই এর ১৫ এবং ১৯ পৃষ্ঠায়, ““বেহেস্তে বেশ্যা আনলিমিটেড, কাস্টমার লিমিটেড। বেশ্যার পারিশ্রামিক আর ইসলামী দেনমোহর একই বস্তু। একজন বেশ্যার খোঁজে যেতে হয় বেশ্যালয়ে বাহাত্তর বেশ্যার খোঁজে যেতে হয় মসজিদে। মোল্লারা পাবলিক বেশ্যালয়ের বিরোধিতা করে ভিন্ন কারণে, ওখানে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তাদের নেই। কারণ সব মোল্লাদের পরিবারই এক একটা মিনি প্রাইভেট বেশ্যালয়।” নাউযুবিল্লাহ!!!! বই এর ১৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, “ইসলামের দেনমোহর এবং বেশ্যার পারিশ্রমিক একই বিষয়।” আরো বলা হয়েছে, “প্রাইভেট বেশ্যা ক্রয়ের ইসলামী চুক্তিকে মুমিন-মুসলমানরা বিবাহ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। বিশ্বাসীদের কাছে টিকটিকিও ওহী নাযিল করে।” নাউযুবিল্লাহ। বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে,“বোরখা পরিহিতা নারীরা বেশ্যা।” ৩৯ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, “ইসলাম শান্তির ধর্ম-একথা পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম কৌতুক।” নাউযুবিল্লাহ!!!! বইয়ের ৫৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, ”ইন্ডিয়া মুসলমানদের প্রথম বেহেস্ত, কারণ এখানে অসংখ্য হুর, শারাবান তহুরা এবং সস্তায় লাল মাংস আছে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।