বিকেলে পর্দা উঠছে বইমেলার
পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ- প্রতিপাদ্যে অমর একুশে বইমেলার পর্দা উঠছে আজ বুধবার (১
একুশের বইমেলায় মন কেমন আনন্দময়। মন কেমন উড়োউড়ো। তার মধ্যে আবার বসন্ত। মন আরও বিরহে শিহরণে একাকার। তরুণ-তরুণী ঝাঁক বেঁধে মেলায় আসছে। ঘুরছে। খাচ্ছে। গল্প করছে। বই কিনছে। কেউ হারানো বন্ধুকে বইমেলায় পেয়ে মনের বিনিময়। এমন সুযোগ তো সবসময় আসে না। বছরে একবার। মহান একুশের বইমেলায়। হারানো দিনের কত কথায় তারা মেতে ওঠে। নিজেদের ঘর-সংসারের খোঁজ-খবর নেয়। কেউ কেউ আবার খুব সতর্ক। এই বুঝি পরিচিত কেউ দেখে ফেলে! একটা ভয়ও কাজ করে সত্য। তারপরও পুরনো সম্পর্ক মধুময় হয়ে ওঠে। বসন্ত তাদের আরও গোপন হিয়াকে আন্দোলিত করে। মধুময় করে।
৩. ছেলে বুড়ো সব বয়সী মানুষের মিলন মেলা একুশের এই মেলা। মেয়েরা নারী দিবসে এসেছে বেগুনি শাড়ি পড়ে। এটা বাড়তি আকর্ষণ। শিশুরা এসেছে বিপুল।তাই নিশাদ নামের এক তরুণ কফি পান করতে করতে বলে ওঠে, আমার এমন কেমন করে।
৪. একুশে বই মেলা আমাদের জীবনে এক বড় আনন্দের। বড় গৌরবের। ঘরে বসে এর স্বাদ নেয়া সম্ভব নয়। যারা ঘরবন্দী, মেলা বিমুখ,তাদের বলতে ইচ্ছা করে,রবীন্দ্রনাথের ভাষায়- ওরে আধমরাদের তুই ঘা মেরে বাঁচা।তবে হ্যা এটাও ঠিক অনেকে কাজের চাপে মেলায় আসতে পারেননা।তাদের কথা আলাদা। এর মানে এই নয় তারা মেলা বিমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।