মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রধানমন্ত্রী মোদির আসন্ন সফরের দিনে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেন্টের সামনে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছেন ইউরোপবাসী ভারতীয়রা। এর আগে জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দফতরের সামনে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সফরের সময়ে ব্রাসেলসে প্রতিবাদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন তারা।
ইইউ পার্লামেন্টে শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস সফর নির্ধারিত হয়েছে ১৩ এবং ১৪ মার্চ। ইতিমধ্যেই এই দুই দিন প্রতিবাদ সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি নিয়ে নিয়েছেন তারা। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে প্রতিবাদে যোগ দিতে ‘ব্রাসেলস চলো’র ডাক পৌঁছে দিচ্ছেন প্রতিবাদিরা। এর আগে জেনেভা, ব্রাসেলস এবং মিউনিখে (নিরাপত্তা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময়) জার্মানির বিভিন্ন শহরসহ ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, ইটালি, পোল্যান্ডের মতো নানা দেশ থেকে ভারতীয়রা জড়ো হয়েছিলেন। এ বার ‘ব্রাসেলস চলো’ কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে, ‘লেট মোদি হিয়ার আওয়ার ভযেসেস’ (মোদিকে আমাদের বার্তা শুনিয়ে দিন)।
আগের বার জেনিভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত অনেক দূর থেকে প্রচুর টাকা খরচ করে জড়ো হযেছিলেন। ফ্রাঙ্কফুর্টে ভারতীয় কনস্যুলেটের ফেসবুক পেজে প্রতিবাদীদের ‘দেশবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে সমস্যায় ফেলার নানা চেষ্টাতেও তারা দমে যাননি। মোদির সফরের সময়েও অন্য বারের মতো শ’দুয়েক প্রতিবাদীর ভিড় হতে পারে বলে আশা করছেন উদ্যোগটির আহ্বায়কেরা। তাদেরই অন্যতম, জার্মানির কোলন শহরে কর্মরত এক বাঙালি তরুণী বলেছেন, ‘ইইউ পার্লামেন্টের যেখানে প্রতিবাদস্থল, ভিতরে ঢোকার সময়ে সেখানটা চোখে না-পড়ে উপায় নেই।’ তবে বিকালে নির্দিষ্ট একটি সময়ে দু’ঘণ্টার জন্য প্রতিবাদের অনুমতি পাওয়া গেছে। ওই সময়ই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সারার কথা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ওই সময়ের মধ্যে প্রতিবাদটি চাক্ষুষ করুন বা না-করুন এ প্রতিবাদের বার্তা ইইউ পার্লামেন্টে সব স্তরে ছড়িয়ে পড়বে বলে প্রতিবাদীরা আশাবাদী।
এর আগে ইউরোপের ঠান্ডা, ঝড় বৃষ্টিতে আজাদির স্লোগান, সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ থেকে রবীন্দ্রনাথ বা ফৈজ আহমেদ ফৈজের কবিতা সমস্বরে উচ্চারণে ভারতে আইন করে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের প্রতিবাদ করা হয়েছিল। এ বারও পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক মনস্তত্ত্বের এক শিক্ষিকা, নেদারল্যান্ডসে আইনের অধ্যাপিকা, জেনেভার গবেষক-ছাত্রীর মতো নানা পেশা ও সামাজিক অবস্থানের জনতা ব্রাসেলস সফরের তোড়জোড় করছে। বাংলা, দিল্লি ও লাগোয়া এলাকা বা মুম্বাইবাসী কিংবা তামিল-মালয়ালমভাষী অনেকেই সে-দিন এক হয়ে যাবেন। সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।