পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন, ‘ভারত সফরে যেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না।’ মঙ্গলবার পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে।
একদিন আগে গত সোমবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত সফরের সময় আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে আয়োজিত সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমার প্রশাসন পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়ে তাদের সীমান্ত থেকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং জঙ্গিবাদীদের দমন করতে কাজ করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তানের সাথে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সাথে মিলে কাজ করায় বড় সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং উত্তেজনা হ্রাস, স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত জাতির সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আমরা আশাবাদী।’
এ বিষয়ে গতকাল দেয়া বিবৃতিতে কোরেশি বলেন, পাকিস্তান সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্য ‘অসাধারণ’ ছিল এবং এর গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চান এবং ভারতকে এই অঞ্চলে ইতিবাচক ভ‚মিকা নিতে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করার কথা বলেছেন।’
একমাত্র কাশ্মীর ইস্যু সমাধান হলেই এটি সম্ভব হবে জানিয়ে কোরেশি বলেন, ‘বর্তমান ভারত সরকার ইতোমধ্যে জটিল সমস্যাটিকে আরও জটিল করেছে। গত ৫ আগস্ট ভারতের নেয়া পদক্ষেপ কাশ্মীরের পরিচয়কে প্রভাবিত করেছে এবং এটিকে বিভক্ত করেছে।’ তার প্রশ্ন, ‘কাশ্মীর ২০৬ দিন ধরে অবরুদ্ধ রয়েছে। কীভাবে এই পরিস্থিতিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অগ্রগতি করতে পারে?’ তিনি প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের ফলে সৃষ্ট অশান্তির বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান দিল্লির ঘটনা থেকেই বোঝা যায়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে এই অঞ্চলে সৃষ্ট অশান্তি পুরো বিশ্বকে প্রভাবিত করতে পারে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতকে তার ‘আচরণ ও নীতি পর্যালোচনা’ করা দরকার।
কোরেশি বলেন, ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান শান্তি চায়। তিনি আরও যোগ করেন যে, সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করতে পাকিস্তান যে অগ্রগতি করেছে তা অনুকরণীয়। তিনি বলেন, ‘আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকা বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে। এবং এই অঞ্চলে পাকিস্তানের ভ‚মিকা প্রশংসিত হচ্ছে।’ তিনি মন্তব্য করেন যে, ভারত যে পাকিস্তানকে ‘সমস্যা’ হিসাবে মনে করেছিল, এখন সেই পাকিস্তানকে ‘সমাধান’ হিসাবে সারা বিশ্বে দেখা হচ্ছে। তিনি পাকিস্তানের জনগণ, সশস্ত্র বাহিনী এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।