Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডাবল সেঞ্চুরিতে চ‚ড়ায় মুশফিক

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

ব্যাটিং নিয়ে টানা ব্যর্থতার গঞ্জনার মাঝে মিরপুর টেস্টের আগে সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি এমনকি ত্রিপলের আশার কথা শুনিয়েছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই কিনা সেই আত্মবিশ^াসের জায়গায় শতভাগ সফল বাংলাদেশ। ত্রিপল না হলেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল নিজে, পাকিস্তান সফরে না যাওয়ায় যাকে নিয়ে চলছিল সমালোচনার ঝড় সেই মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এলো অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরি! তাই তো দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে, হাতে থাবার অবয়ব এনে বাঘের গর্জনেই উদযাপন করলেন মাইলফলক ছোঁয়া ইনিংসটি।

বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তিনি। সর্বাধিক ডাবল সেঞ্চুরির মালিকও বটে। গতকাল সে সংখ্যাটাকে তিনে নিয়ে গেলেন দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। পাশাপাশি তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের চ‚ড়ায়ও পৌঁছালেন টেস্ট ক্রিকেটের অভিজ্ঞ এই সেনানী।
গেল নভেম্বরে ভারত সফরের আগেই গøাভস ছেড়েছিলেন মুশফিক। এরপর ব্যাট হাতে তার ছন্দটা যেন আরও বেড়ে গেছে। ভারতে সব ব্যাটসম্যানই যখন হিমশিম খাচ্ছিলেন, তখন একাই প্রতিরোধ গড়েছিলেন। দুই টেস্টেই পেয়েছিলেন ফিফটির দেখা। এরপর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এদিন তো অনন্য মাইলফলকেই পৌঁছালেন। দায়িত্ব কমায় ব্যাটিংয়ে যে আরও মনোযোগ দিতে পারছেন, তার প্রমাণ রাখছেন মুশফিক।

মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই দারুণ ব্যাট করতে থাকেন মুশফিক। আগের দিনের ৩২ রান নিয়ে খেলতে নেমে সকালের সেশনে ৯৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। এরপর ১৬০ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার। আর ডাবল সেঞ্চুরই করতে ৩১৫ বল মোকাবেলা করেন তিনি। সময়ের হিসাবে, ৪৩৪ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। নিজের ইনিংসটি ২৮ চারের সাহায্যে সাজান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩১৮ বলে ২০৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।
এ ম্যাচে নামার আগে তামিমের চেয়ে ১৬৪ রানে পিছিয়ে ছিলেন মুশফিক। ওপেনিংয়ে নেমে ৪১ রান করে ব্যবধান ১৯৫ রানে বাড়িয়ে নেন বাঁহাতি তারকা। তবে সাদা পোশাকে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েই তামিমকে টপকে যান মুশফিক। সিকান্দার রাজার বলে শাফল করে সিঙ্গেল নিয়ে তামিমকে ছাড়ান। এর দুই ওভার পর সেই রাজার বলে কাট করে পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারি মেরে দ্বিশতক প‚র্ণ করেন লিটল মাস্টার।

এর আগে ২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটি করেছিলেন মুশফিক। এরপর অবশ্য সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালও দ্বিশতক হাঁকিয়ে তার পাশে বসেছিলেন। তাদের ছাপিয়ে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০১৮ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিটি করেন মুশফিক।

টেস্টে এখন মুশফিকের সংগ্রহ ৪৪১৩ রান। ৭০ ম্যাচে ১৩০ ইনিংস খেলে এ রান করেছেন তিনি। সেঞ্চুরি মোট ৭টি। হাফসেঞ্চুরি আছে ২১টি। ৬০ টেস্টে দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিমের সংগ্রহ ১১৫ ইনিংসে ৪৪০৫ রান। বাংলাদেশের হয়ে রানের তালিকায় তিনে আছেন সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞার কারণে বাইরে থাকা অলরাউন্ডারের রান এখন ১০৫ ইনিংসে তিন হাজার ৮৬২। হাবিবুল বাশার ৯৯ ইনিংস খেলে করেছেন তিন হাজার ২৬ রান। তিন হাজার রান নেই আর কারও।
দুজনই এখনও খেলছেন, পথ না হারালে খেলবেন আরও অনেক দিন। বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে খেলে আসা দুই বন্ধুর দ্বৈরথ তাই সামনেও দারুণ জমবে বলে আশা করাই যায়।

 



 

Show all comments
  • parvez ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:৫৮ এএম says : 0
    one request: দয়া করে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়দের প্লট , ফ্ল্যাট ... ইত্যাদি দেবার তাল ওঠাবেন না কেউ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুশফিক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ