রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোর জেলার গুরুত্বপূর্ণ ও পরিচিত একটি স্থানের নাম রাজারহাট পিকনিক কর্ণার ‘ক্ষণিকা’। যশোর-খুলনা মহাসড়কের গাঁ ঘেষা বিশাল আয়তনের পিকনিক কর্ণারটি অনেক বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি ব্যবহার উপযোগী করার কোনো উদ্যোগ নেই। পিকনিক কর্ণারটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত। ৫৬ বিঘা অর্থাৎ অর্ধশতাধিক বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত রাজারহাট পিকনিক কর্ণার এক সময় ছিল রমরমা। এখন আর ব্যবহৃত হয় না বললেই চলে। মূল্যবান সরকারি সম্পত্তি প্রতি বছর ব্যবহার করা হলে বিপুল অঙ্কের অর্থ আয় করার সুযোগ রয়েছে। অথচ কাজে লাগানো হচ্ছে না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই পিকনিক কর্ণার ‘ক্ষণিকা’ দীর্ঘদিন ধরে অযত্ম অবহেলায় অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।
সংশিষ্ট সূত্র জানায়, যশোরের অনেক সরকারি সম্পত্তি বিভিন্নপন্থায় ইতোপূর্বে প্রভাবশালী ক্ষমতাসীনরা দখল করে নিয়েছে। রাজারহাট পিকণিক কর্ণারের দিকেও তাদের দৃষ্টি ছিল। তারা বহুবারই ছোঁ মেরেছে কিন্তু খড়-কুটা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। মূল্যবান সরকারি এই সম্পত্তিটিতে কোনো সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে অনেকে মনে করেন। তবে সড়ক ও জনপথের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী যোগদানের পর উপর মহলে যোগাযোগ করে একটা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। যা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আসলেই গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি আরও বলেন, আমি একটা ২শ’ জনের ক্যাপাসিটির একটা আবাসিক ট্রেনিং সেন্টার করার পরিকল্পনা করেছি।
সড়কের জায়গা আছে বহু কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সড়ক বিভাগের কোনো ট্রেনিং সেন্টার পদ্মার পশ্চিম পারে নেই। সেজন্য পরিকল্পনা করে ৪ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট হেড অফিসে পাঠিয়েছি। যা এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যশোরের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে নির্বাহী প্রকৌশলী প্রশংসিত হয়েছেন। কারণ যুগ যুগ ধরে সরকারি সম্পত্তি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় বহু মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতেন। এ ধরণের উদ্যোগকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছে। তাদের দাবি অবিলম্বে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।