প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যাকান্ডের শিকার হননি, তিনি পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, পিবিআই তদন্তে সালমান শাহকে হত্যার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-১. সালমান শাহ এবং চিত্রনায়িকা শাবনূর-এর অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা। ২. স্ত্রী সামিয়ার সাথে দাম্পত্য কলহ। ৩. মাত্রাধিক আবেগ প্রবণতার কারণে একাধিকবার আত্মঘাতি হওয়ার বা আত্মহত্যার চেষ্টা। ৪. মায়ের প্রতি অসীম ভালবাসা, জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জিভূত অভিমানে রূপ নেয়া। ৫. সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা। এদিকে পিবিআইয়ের এ প্রতিবেদন সালমান শাহের পরিবারর প্রত্যাখান করবে বলে জানিয়েছেন তার মামা আলমগীর কুমকুম। তিনি বলেছেন, এ মামলার যে রাজসাক্ষী রুবি সুলতানা, তিনি সামিরার মামী। তিনি তো বলেছেন সালমানকে হত্যা করা হয়েছে। তার ছেলেকে দিয়ে সামিরা পুটলি সরিয়েছে। ওই পুটলিতে কী ছিল? তাকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না? তার পর্যন্ত কি পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে পিবিআই? আমরা পুনঃতদন্ত চাইব। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকন্ডেের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ঐ বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। এরপর প্রায় ১৫ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান এবং ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নারাজির আবেদন দাখিল করেন। নারাজি আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহের হত্যাকান্ডে জড়িত থাকতে পারেন। মামলাটি এরপর র্যাব তদন্ত করে। তবে র্যাবের দ্বারা তদন্তের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত বছরের ১৯ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করে। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রাষ্ট্রপক্ষের রিভিশনটি মঞ্জুর করেন এবং র্যাবকে মামলাটি আর না তদন্ত করার আদেশ দেন। তারপর মামলাটির তদন্তভার যায় পিবিআইয়ের হাতে। দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই জানায় সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।