Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫০ বছরেও সংস্কার হয়নি ঢাকাপট্টির বধ্যভূমি

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

বগুড়ার সান্তাহারের দৈনিক বাজার এলাকার ঢাকাপট্টিতে পাকসেনারা এক সাথে ৩৯ জন বাঙ্গালিকে গুলি করে হত্যা করে। সেখানে তাদের গণকবর দেওয়া হয়। দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও সরকারিভাবে এই বধ্যভ‚মির সংষ্কার ও সেখানে যাওয়ার রাস্তার ব্যবস্থা না থাকায় দিন দিন এর চিহ্ন হারিয়ে যেতে বসেছে।
জানা যায়, ’৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিহারি অধ্যুষিত সান্তাহার জংশন শহর পাকসেনারা দখল নিয়ে বাঙ্গালিদের বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ,মালামাল লুটপাট,নারীদের ধর্ষনসহ হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। একপর্যায়ে ’৭১ সালের ২২ এপ্রিল দুপুরে শহরের দৈনিক বাজার এলাকার ঢাকাপট্টির স্থানীয় বাসিন্দা নুর চেীধরী তার স্ত্রী খাদিজা বেগম, ছেলে ফারুক চেীধরী বাচ্চু, মো. জয়নাল আবেদিন স্বপন মেয়ে বুলু চেীধরী, সিমা চেীধরী, শ্বাশুড়ী রহিমা বেগম, নিকট আত্মীয় কলি বেগম, খুকি বেগম, কামাল হোসেন এবং একই এলাকার অর্জুন চন্দ্র দাস, তার স্ত্রী জোৎস্না রানী দাস ছেলে রতন চন্দ্র দাস, লক্ষণ চন্দ্র দাস, মহাদেব চন্দ্র দাস,উক্কু চন্দ্রদাস, মেয়ে সুমিত্রা দেবি, কল্পনা, বগাদাস,তার স্ত্রী পার্বতী ,ছেলে ভানুদাস, রবিদাস, মেয়ে তারা রানীদাস, কল্লু দাস, তার স্ত্রী রাধা রানীদাস, ছেলে কার্তিক চন্দ্র দাস,নিতাই চন্দ্রদাস, মেয়ে গীতা রানীদাস,স্বপ্না রানীদাস, স্থানীয় ঢকাপট্টির লতিফ সওদাগরের স্ত্রী আমেনা খাতুন, ছেলে নেসার আহমেদ লালমিয়া,তার স্ত্রী আয়েশা তার ছোট ভাই ওসমান গনি, তার স্ত্রী নাজমা বেগম, ছেলে আকতার হোসেন, মেয়ে রেশমাসহ ৩৯ জনকে পাকসেনারা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার একদিন নিহতদের সেখানেই গণকবর দেন তাদের পরিবার। ঘটনার ৫০ বছর অতিবাহিত হবার পরও অদ্যবধি এই গণকবরের স্থান বধ্যভুমি সরকারিভাবে সংষ্কার বা সেখানে যাওয়ার রাস্তাঘাটের ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে শহীদদের পরিবার এবং স্থানীয়রা ও দূর-দূরান্তের দর্শনার্থীরা যেতে পারে না। ফলে দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে এর চিহ্ন ।
এ বিষয়ে শহীদ নুর চেীধরীর ছেলে মাসুদ চেীধুরী মুক্তা বলেন আমার পিতা-মাতা ভাই বোনসহ পরিবার ১০জন ছাড়াও পাকসেনারা এক সাথে ৩৯ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে আদমদীঘি নির্বাহী অফিসার একে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, বিষয়টি গুরত্বের সাথে দেখবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ