বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নরসিংদী থেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১’র একটি টিম। গত শুক্রবার গভীররাতে নরসিংদী জেলার সদর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন নারী রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মোঃ অভিত মিয়া (২৮), মোঃ পাপ্পু মিয়া (২৮), মারিয়া আক্তার মন্টি (২৩) এবং মোঃ বাদল মিয়া (৫৮)। গ্রেফতারকৃত আসামীরা নরসিংদী জেলার সদর থানার স্থায়ী বাসিন্দা।
শনিবার দুপুরে র্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন স্বাক্ষরিত পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার অপহরণকারী চক্রের সদস্য। এরা সমাজের উচ্চ বিত্তদের অপহরণের পর নির্যাতনের ভিডিও তৈরী করে সেটি অপহৃতের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে মোটা অংকের টাকা মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর নরসিংদী আদালতের সামনে থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি মাইক্রোবাস যোগে মোঃ রাসেল (২৮) নামে এক যুবককে অপহরণ করা হয়। এরপর তাকে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে অপহরণকারীদের ভাড়া করা একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে রাসেলের হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়। নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে সেটি রাসেলের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ওই টাকা না দিলে রাসেলকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। রাসেলের পরিবার রাসেলকে বাঁচাতে বিকাশের মাধ্যমে ওইদিন রাতেই ৬০ হাজার টাকা পাঠায়। বাকি টাকা নগদ পরিশোধ করবে বলে রাসেলকে নিয়ে আসতে বলে।
পরদিন রাতে অবশিষ্ট টাকা নেওয়ার জন্য রাসেলকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসযোগে নরসিংদীর শাপলা চত্তরে আসার পর রাসেল প্রস্রাব করা জন্য মাইক্রোবাস থেকে নামে এবং একটি পিকআপ ভ্যান সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তাৎক্ষণিক ডাকাত, ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে লোকজন আসতে থাকলে অপহরণকারীরা তাকে রেখেই দ্রæত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাসেল তার পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ্য হয়ে র্যাব-১১’র কাছে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দেয়। অভিযোগ পেয়ে র্যাব-১১’র একটি বিশেষ গোয়েন্দা দল গোয়েন্দা নজরধারীর মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা পেয়ে গত শুক্রবার গভীররাতে নরসিংদী সদর থানা এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের ৪ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা অপহরণের উদ্দেশ্যে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে মাইক্রোবাস নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। সুযোগ বুঝে বিভিন্ন এলাকার বিত্তশালী লোকদের অপহরণের পর গোপন স্থানে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা মুক্তিপণ আদায় করে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।